কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

জমি নিয়ে বিরোধ নাগেশ্বরীতে প্রতিপক্ষের হামলা ও বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনায় আহত ৪জনের মধ্য ৩জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে তারা কুড়িগ্রাম জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় নাগেশ্বরী থানায় মামলা হয়েছে।

মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে, জমি জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের লুছনী গ্রামে বৃহস্পতিবার (৫ মে) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পরিকল্পিতভাবে একই গ্রামের মৃত আজাহার আলীর পুত্র খালেক মিয়ার নেতৃত্বে তার ভাই মালেক, মাহাবুর রহমান, সোলায়মান আলী ও ভারাটে লোকজন অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওমর আলীর পুত্র কোরবান আলী ও জাহিদুল ইসলামের বসতবাড়ীতে হামলা চালিয়ে বসতঘর ভাংচুর চালিয়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ও বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আলহাজ্ব এ কে এম আহাম্মদ হোসেন, কেরামত আলী, রিয়াজুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়ে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় শুক্রবার কোরবান আলী বাদী হয়ে খালেক মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে নাগেশ্বরী থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার বাদী কোরবান আলী জানান, খালেক মিয়া চক্ররা দীর্ঘদিন থেকে আমার পিতার সম্পত্তির ওপরে আমাদের বসতবাড়ী অবৈধভাবে জবর দখল করে নিতে পায়তারা করে আসছে। এর প্রতিবাদ করায় তারা বৃহস্পতিবার ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ঘরের সবাইকে আহত করে এবং ভাংচুর-লুটপাট চালায়। এ সময় হামলাকারীরা স্বর্ণ, নগদ অর্থ ও বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মামলা তুলে নিতে খালেক গংরা আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন। আমি এর ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

মামলার আসামী খালেক মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, কোরবান আলীর বসতবাড়ীর জমি আমার। আমি উক্ত জমি দখল করতে যা করতে হয় আমি তাই করবো।

বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি বলেন, খালেক মিয়া দীর্ঘদিন ধরে কোরবানের বসতবাড়ী দখলের পায়তারা করছে। এ বিষয়ে একাধিকবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশে ব্যর্থ হন। ঘটনার দিন খালেকের নেতৃত্বে তার দলবল হামলা চালিয়ে ঘরের সবাইকে আহত করে এবং ভাংচুর-লুটপাট চালিয়ে বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।

নাগেশ্বরী থানর অফিসার ইনচার্জ নবিউল হাসান বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অনেকেই আহত হয়েছেন। মামলা হয়েছে আসামী গ্রেফতারের অভিযান চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *