বুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম  প্রতিনিধি ঃ

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের পাঁচপীর বাজার  এলাকায় একটি পারিবারিক  কবরস্থানের ওপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে  এক পুলিশ  সদস্য এএসআই এর বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় সোমবার  (২৯ জুন) কবরস্হানের পাশে আলোচনা সভা করেছেন কবরস্থানের সঙ্গে সম্পৃক্ত গ্রামের মানুষ।

তাদের অভিযোগ,বহু পুরানো এই পারিবারিক  কবরস্থানের জমির একটি অংশ দখলের পায়তারা করতে এ পাকা রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে।

স্হানীয়রা জানান, আবুল কাশেম এর ছেলে  পুলিশ সদস্য এএসআই মুকুল একক সিদ্ধান্তে এ রাস্তা তৈরি করছে। কোনও নিয়ম না মেনে একক  বরাদ্দ থেকে একেবারে বিনাপ্রয়োজনে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ রাস্তার একটি অংশ  কবরস্থানের ওপর দিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

স্হানীয়দের মধ্যে আবুল হোসেন, রফিকুল ও সফিকুলসহ বেশ কয়েকজন জানান, এই কবরস্থানে তাদের বাপ-দাদার কবর রয়েছে। কিন্তু পুলিশ সদস্য মুকুল  কবরস্থানকে বিভক্ত করে একটি অংশ দখল করার জন্য এই রাস্তা তৈরি করছে। এলাকার কয়েকজন মৌখিকভাবে নিষেধ করলে প্রথমে তিনি তা তোয়াক্কা করেননি; বরং তার অনুসারীদের দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। তবে সঙ্গবদ্ধভাবে অনেকে কবরস্থানে গেলে শ্রমিকরা সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ করে রেখেছে। সুযোগ বুঝে তারা আবারও রাস্তাটি নির্মাণ করতে পারে।
তাই স্হানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অনুরোধ করছেন।

কবরস্থানের ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদস্য বা তার পরিবারের কেউ আলোচনায় আসে নেই।

এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আবু সায়েম জানান, স্থানীয় মানুষ যেহেতু চাচ্ছেন না, এ জন্য তাকে রাস্তা তৈরি করতে নিষেধ করা হয়েছে।

দূর্গাপুর ইউনিয়নের  চেয়ারম্যান আবেদ আলী সরকার বলেন, একটি গ্রুপ যেহেতু রাস্তা তৈরির বিরোধীতা করছেন, তাই এ রাস্তা হবে না। আর কবরস্থানের উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণে আমি এক মত না।

স্হানীয় মুক্তিযোদ্ধা আঃ জলিল  বলেন, কবরস্থানের ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করতে দেয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন পুলিশের চাকুরী করে কি ভাবে ৫০০ ফিট পাকা রাস্তা তৈরি করা সম্ভব। সে চাকরি করে কত টাকা বেতন পায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এলাকা পরিদর্শনে আশা উলিপুর থানার এএসআই আব্দুল আল- মামুন বলেন, ‘কবরস্থানে ওপর  রাস্তা নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। তবে রাস্তা নির্মাণ করা ঠিক হবেনা।  এ নিয়ে কারও ব্যক্তিগত লাভালাভের বিষয় আছে বলে আমার জানা নেই। আর এলাকাসীর যদি আপত্তি থাকে তাহলে আমরা আরও  বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন