এম এস সাগর, নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে গেলেই রাস্তাঘাট ও অন্যান্য অবকাঠামোর সংস্কার কাজ শুরু হবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেলে হেলিকপ্টারের করে পাঙ্গারাণী লক্ষ¥ীপ্রিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। রোববার রাজারহাট উপজেলার পাঙ্গারাণী লক্ষ¥ীপ্রিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। বন্যায় শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহায়তা ও খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত থাকবে বন্যায় যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা মেরামত করে দেয়া হবে। যে সকল শিক্ষার্থীদের বইখাতা বন্যার পানিতে ভেসে গেছে তাদের নতুন করে বই দেয়া হবে। কৃষক ভাই যাদের ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়েছে তারা যেন পুনরায় কৃষি ঋণ পেতে পারে, বীজ ও বীজতলার ব্যবস্থা করতে পারে, সে উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। নতুন ফসল ঘরে না ওঠা পর্যন্ত বন্যার্তদের সহায়তা দেয়া হবে। আমার দেশের প্রত্যেকটা মানুষ, বন্যা কবলিত যেসমস্ত এলাকায় খাদ্যশস্য নষ্ট হয়েছে বা কোনো ক্ষতি হয়েছে, প্রতিটি মানুষ যাতে ক্ষুধার অন্ন পায়। বন্যায় যাদের ঘর নাই, বাড়ি নাই অথবা নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদেরকে প্রয়োজনে খাস জমি অথবা কিনে হলেও জমি দেয়ার কথা জানান। যাদের ঘর নাই, বাড়ি নাই, তাদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দেব। আমার ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া বলতে কিছু নাই। আপনারা যেন ভাল থাকেন, আপনাদের জীবন যেন উন্নত হয়, আপনাদের ছেলে মেয়েরা যেন লেখাপড়া করে, আপনারা যেন ভালভাবে বাঁচতে পারেন যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসলে আমি আপনাদের পাশে যেন দাঁড়াতে পারি, সহযোগিতা করতে পারি, সেটাই আমাদের দায়িত্ব, সেটাই আমাদের কর্তব্য। ইনশাল্লাহ সে ব্যবস্থা আমরা করব, করে যাচ্ছি। ত্রাণ নয় বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জাতীর আকাঙ্খা পুরন করার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু’র সপ্নের বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন আমার নিজের কিছু প্রয়োজন নেই। জনগণের সুখ শান্তিতেই আমার সুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন- কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মহমুদ চৌধুরী এবং কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. জাফর আলী, কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. রুহুল আমিন প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *