ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতাঃ
‘আগামি সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কোন সম্ভাবনা নেই। বিএনপি বা তাদের বিশ দলীয় জোট যদি আগামি সংসদ নির্বাচনে না আসে সেক্ষেত্রে হয়তো যে যার মতো নির্বাচন করতে পার্ েসেটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। তবে আমি বিশ^াস করি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে আমরা যারা সবাই আছি সবাই সম্পৃক্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করবো।’ শনিবার সকালে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সোনাহাট স্থল বন্দর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী ইমিগ্রেশন চালুর ব্যাপারে বলেন, ভারত সরকারের সাথে আলোচনা করে আমরা ইমিগেশন চালু করবো।’
পরে স্থলবন্দর চত্বরে সরকার রকীব আহমেদ জুয়েলের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা: সুলতানা পারভীন’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, দেশবন্ধু গ্রুপের চেয়ারম্যান ও কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলহাজ গোলাম মোস্তফা,পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মো: জাফর আলী ও উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরী খোকন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নৌ পরিবহন মন্ত্রী ২০১২ সালের ১৭ নভেম্বর বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বন্দরের নির্মাণ কাজ আরাম্ভ করা হয়। এজন্য ১৪ দশমিক ৬৮ একর জমিসহ ৬শ’ মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ১টি ওয়ারহাউজ, ৯৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের পার্কিং ইয়ার্ড, ৮৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের ওপেন স্ট্যাক ইয়ার্ড, শ্রমিকদের জন্য দুটি বিশ্রামাগার, একটি প্রশাসনিক ভবণ, দ্বিতল বিশিষ্ট সিকিউরিটি ব্যারাক, একটি দ্বিতল ডরমেটরী ভবনসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে ৩৯ কোটি ৪৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়।
সোনাহাট স্থলবন্দরের সাথে ভারতের এলসি স্টেশন গোলকগঞ্জ, ধুবরী, আসাম থেকে ১০টি পণ্য আমদানী ও রফতানী করার চুক্তি হয়। পণ্যসমূহ পাথর, কয়লা, তাজাফল, ভুট্টা, গম, চাল, ডাল, রসুন, আদা এবং পিঁয়াজ।