হুমায়ুন কবীর সূর্য্য,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে চ্যাঞ্চল্যকর কিশোর হেলপার শিপন হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। একটি এন্ড্রয়েড মোবাইলের কারণে তাকে তারই সহকর্মী সোহেল ইসলাম (১৯) নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে বলে পুলিশী তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে এসেছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে এক প্রেস ব্রিফিং-এ এসব কথা বলেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতীপ্রাপ্ত) মেনহাজুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) উৎপল রায়, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজার রহমান প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম জানান, চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর কিশোর হেলপার শিপন এর মৃতদেহ বাসের ভিতর পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে অপর বাসের হেলপার সোহেল ইসলাম, শহিদুল ও মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল (২৭ অক্টোবর) মূল আসামী কুড়িগ্রাম শহরের কাশিয়াবাড়ীর হাল মাঝি পাড়ার গোলজার হোসেনের পূত্র সোহেল ইসলাম (১৯) কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমানের আদালতে এনড্রয়েড মোবাইল চুরীর উদ্যেশ্যে হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
প্রেস ব্রিফিং-এ বলা হয়, ঘটনার দিন রাতে কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে অবস্থিত ইদুল মিয়ার হোটেলে একসাথে রাতের আহার সাড়েন নিহত শিপন, তার বড়ভাই রিপন ও হত্যাকারী সোহেল ইসলাম। পরে ভোররাত ৪টার সময় এন্ড্রয়েড মোবাইলটি চুরির উদ্দেশ্যে ঘুমন্ত শিপনের বাসে ওঠে সোহেল ইসলাম। পকেটে অবস্থিত মোবাইলটি বের করতে গেলে টের পায় শিপন। এনিয়ে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরে ক্ষীপ্ত হয়ে সোহেল ইসলাম শিপনের গলায় গামছা পেছিয়ে তাকে চেপে ধরে। এসময় দমবন্ধ হয়ে কিশোর শিপনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর মোবাইল সেট নিয়ে বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায় সোহেল ইসলাম।
এ ব্যাপারে মামলার যাবতীয় কার্যক্রম শেষে আসামী সোহেল ইসলামের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অল্প সময়ে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে বলে জানানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *