মোঃ নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে টানাটানিতে থাকা লোকজন ঈদের পোশাক ক্রয়ে মার্কেটে কতটা ভিড় জমাবেন ও জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়তে পারে ঈদের কেনাকাটায়, তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে এসব উপেক্ষা করে এবছর দিনাজপুরের খানসামায় রমজানের শুরু থেকেই ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, মার্কেটে ক্রেতাদের আনাগোনা ততই বাড়ছে। যদিও বাড়তি দামে ক্রেতাদের অসন্তোষ রয়েছে, তারপরও বেচাকেনায় খুশি ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সরেজমিনে উপজেলার পাকেরহাট ও খানসামা বাজারে বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় এ বছর একটু আগেই ঈদের কালেকশন শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। কোথাও নারীদের ড্রেস, কোথাও পুরুষ, কোথাওবা দেখা মিলছে শিশুদের কালেকশনের সমাহার। কোনো কোনো দোকানে আবার নারী-পুরুষ-শিশুসহ সব বয়সী মানুষের তৈরি পোশাক বিক্রি হচ্ছে। রমজানের ১৫ রোজার পর ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। কেউ দোকানে এসে পছন্দের কাপড় বাছাই করছেন। কেউ কাপড় কিনে খুশিমনে বাড়ি ফিরছেন। দীর্ঘ দুই বছর পর চিরচেনা এই রূপে ফিরে আসায় খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা। কাপড়ের দোকানগুলোতে ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের চাহিদাকে প্রাধান্য রেখে দোকানিরা বিভিন্ন ধরনের কাপড় তুলেছেন। এসব কাপড় বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।
কাপড় কিনতে এসেছেন গোয়ালডিহির আইনুল হক। তিনি জানান, কাপড়ের দাম আগের চেয়ে তুলনামূলক বেশি। তবে দীর্ঘ দুই বছর পরে এভাবে নিজের পছন্দ করে ঈদের বাজার করতে পেরে খুশি তিনি। আরেক ক্রেতা ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ঈদের মার্কেট করতে এসেছিলাম। জিন্স প্যান্ট ও পাঞ্জাবি কিনে এখন বাড়ি ফিরছি। তবে তুলনামূলক আগের চেয়ে দাম বেশি।
পাকেরহাটের মেহেদী গার্মেন্টস এন্ড বিয়ে সাজ ঘরের স্বত্বাধিকারী মেহেদী হাসান চৌধুরী বলেন, গত দুবছর ঈদে বেচাকেনা অনেক খারাপ গেছে। এবার দোকানে বাহারি পোশাকের কালেকশন রয়েছে। দামও ক্রেতাদের নাগালে। ১৫ রোজার পর থেকেই পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। তবে আগের চেয়ে ছোট-বড়দের কাপড়ে ৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।
পাকেরহাটের অভিজাত পোশাকের দোকান মা-মনি বস্ত্র বিতান এন্ড শপিংমলের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের দোকানে এবার আকর্ষণীয় পাঞ্জাবি, শার্ট, শিশুদের কাপড়সহ ছোট-বড়দের নানা ধরনের পোশাকের কালেকশন রয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত দুই বছর কাপড়ের দোকানগুলোতে ঈদবাজার জমে ওঠেনি। বন্ধ রাখতে হয়েছিল দোকান। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে এবার রমজানের শুরু থেকে জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদের বাজার। বেচাবিক্রিও ভাল হচ্ছে।