এস.এম.রকি, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাটে অবস্থিত মমতাজ (প্রাঃ) ক্লিনিক এন্ড কনসালটেন্ট সেন্টারে এক প্রসূতির সিজারের পর নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করলেও কর্তৃপক্ষের দাবি সিজারের পর শিশুটি অপুষ্টিকর অবস্থায় থাকায় ও ওজন ২কেজির কম হওয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য নীলফামারীতে পাঠালে শিশুটি সুস্থ হয় পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে অক্সিজেন ঠিক মত না পাওয়ায় এ্যাম্বুলেন্সে মারা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার জমিদারনগর আশ্রয়ণ এলাকার জয় বাংলা ভিলেজের আনারুল ইসলামের স্ত্রী জামিলা বেগমের প্রসববেদনা উঠলে পাকেরহাট মমতাজ ক্লিনিকে ভর্তি করান। পরে রাতে সৈয়দপুরের ডাঃ নিঘাত পারভিন বিউটি ও নীলফামারীর এ্যানেস্থিয়া ডাঃ আতিয়ার রহমান সিজার করে চলে যান। পরেরদিন শুক্রবার দুপুরের দিকে শিশুটির শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নবজাতকের পরিবারকে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে বিকেল ৩টার দিকে নবজাতককে নীলফামারী হাসপাতালে যেয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে এ্যাম্বুলেন্সে মারা যান। বর্তমানে প্রসূতি সেই ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নবজাতকের বাবা আনারুল ইসলাম বলেন, আমার সন্তানের শ্বাসকষ্টের বিষয়টি কর্তৃপক্ষ আমাকে দেরিতে জানিয়েছে। এছাড়াও ক্লিনিকে চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা প্রদানে যথেষ্ট গাফিলতি রয়েছে।
এ বিষয়ে ক্লিনিক মালিক মোছাব্বের হোসেন সবুজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রসূতির বাচ্চাদানীতে পানি ছিল না। নবজাতকের ওজন অনেক কম ছিল। এমনকি প্রসূতির সংকটাপন্ন সময়ে ক্লিনিকে নিয়ে এসেছিল। আমরা পরীক্ষা করার পর প্রসূতিকে ক্লিনিকে ভর্তির ও সিজার করার অপরাগতা জানালে প্রসূতির পরিবারের অনুরোধে অভিজ্ঞ গাইনী সার্জন চিকিৎসক দিয়ে সিজার করি। এছাড়াও সিজারের পূর্বেই তার পরিবারকে জানানো হয়েছিল যে শিশুটি নাও বাঁচতে পারে। তারপরও সফলভাবে সিজার করার পরদিন শিশুটির শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত সময়ে নবজাতকের পরিবারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নীলফামারীতে পাঠানোর সকল ব্যবস্থা করে দেই। আমাদের চেষ্টার কোন ক্রুটি ছি