এস.এম.রকি, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় গবাদী পশুর অন্যতম প্রধান খাদ্য খড়ের (গ্রাম্য ভাষায় পোয়াল/কাড়ি) দাম লাগামহীন হারে বাড়তে থাকায় বিপাকে পড়েছে খামারীরা।
প্রতি পোন (৮০টি আঠি) খড় বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৭০০-৭৫০ টাকায়। গতকয়েকদিনে দাম বেড়ছে ৪৫০-৫০০ টাকা। এতে করে গবাদী পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে খামারি ও গৃহস্থরা।
সাম্প্রতিক বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি এবং গৃহস্থদের খড় পচে বিনষ্ট হওয়ায় এ সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। তাই উপজেলার সর্বত্র গো-খাদ্যের সংকট বিরাজ করছে। ফলে গৃহপালিত প্রাণি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গৃহস্থরা।
এ অঞ্চলে গৃহপালিত গরু ও মহিষের অন্যতম খাদ্য বোরো ও আমন ধানের খড় (গ্রাম্য ভাষায় পোয়াল)। অন্যান্য খাদ্যের পাশাপাশি বারো মাসেই এই ধানের খড় খেয়ে গৃহপালিত পশুগুলো জীবন ধারন করে। এজন্য পশুর মালিকরা প্রতি বছর গৃহপালিত পশুর জন্য ধানের খড় মজুদ করে রাখেন।
কিন্তু এখনো আমন ধান ঘরে উঠতে দুই মাস বাকি, ঘন ঘন বৃষ্টি ও বন্যার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে সবুজ ঘাস ও মজুদকৃত খড় কিন্তু এবার এই খড় নিয়ে তারা পড়েছেন বিপাকে।
ছাতিয়ানগড় গ্রামের কৃষক বদির সাথে কথা হলে তিনি জানান, হামরা ১৫০-২০০ টাকায় এক পোন কাড়ি কিনি কিন্তু এইবার যে এতদাম, গরু পোষায় মুশকিল।
এ অবস্থায় খড়ের সংকট দেখা যাওয়ায় খড়ের মূল্যও বেড়েছে দ্বিগুণ। ধানের খড় মালিকরা পশু মালিকদের কাছে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে খড়ের দাম বাড়িয়ে ইচ্ছামতো অধিক মূল্যে খড় বিক্রি করছেন। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গৃহপালিত পশুর মালিকদের সঙ্গে কথা বলে গো-খাদ্যের খড়ের তীব্র সংকট এবং মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি জানা গেছে।
খানসামা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আলতাব হোসেন জানান, ঘন ঘন বৃষ্টি ও বন্যার কারণে গো খাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ধান উঠলে এই সংকট কমবে বলে আশা করছি।
তিনি আরো জানান, গো-খাদ্য সংকট নিরসনে খামারীদেরকে ঘাসের চারা প্রদান করা হচ্ছে এবং শীঘ্রই খামারীদেরকে গো-খাদ্য দেওয়া হবে।