ঢাকা অফিসঃ
ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াকে ডিভিসন না দেয়া এবং তার সাথে কারা কর্তৃপক্ষের আচরন শিষ্টাচার ও মানবাধিকার পরিপন্থি বলে অভিযোগ করেছেন ২০দলীয় জোট নেতা ও বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তিনি বলেন, দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রধান, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রবীণ রাজনীতিকের সাথে এ ধরনের অমানবিক আচরন আগামী দিনে কুদৃষ্টান্ত হিসাবে বিবেচিত হতে বাধ্য। যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য সুখকর হবে না, হতে পারে না।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ায় দেশে রাজনৈতিক সংঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। আর এই সঙ্কটের জন্য সরকারের একগুয়েমী নীতিই প্রধানত দায়ি। সরকারের মনে রাখা উচিত চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট দেশ-জাতি কারো জন্যই মঙ্গলজনক নয়। এই সঙ্কট সমাধাণে ব্যর্থ হলে আগামী দিনে জাতি হিসাবে আমাদের অনেক বড় মাসুল দিতে হতে পারে।
তিনি বলেন, ১৯৫৭ সালে ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনে পশ্চিম পাকিস্তানীদের উদ্দেশ্যে ‘আসসালামু আলাইকুম’ উচ্চারনের মধ্য দিয়েই মওলানা ভাসানী বাঙ্গালীকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়ে ছিলেন।
রবিবার নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের ৬১তম বার্ষিকী স্মরণে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আরো বলেন, কাগমারী সম্মেলনে মওলানা ভাসানী তাঁর ভাষনের এক পর্যায়ে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকগোষ্টির উদ্দেশ্যে তাঁর সুপুরিচিত ও সুবিখ্যাত ‘আসসালামু আলাইকুম’ উচ্চারন করেন। ঐ ‘আসসালামু আলাইকুম’-এর তাৎপর্য্য উপস্থিত শ্রোতা যাদের মতে, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতার প্রথম স্পষ্ট দাবী এবং তার জন্যে প্রয়োজনীয় সংগ্রাম ও ত্যাগের সংকল্প ঐ ‘আসসালামু আলাইকুম’ ধ্বনীর মাধ্যমে ঘোষিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, কাগমারী সম্মেলনে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী যে গুরুত্বপূর্ণ ও জ্বালাময়ী বক্তব্য রেখেছিলেন তা আজো আমাদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, পতাকা-মানচিত্র রক্ষার সংগ্রামে এবং সাম্রাজ্যবাদ-আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনুপ্রেরনা যোগায়।
তিনি সামনে গণতন্ত্রের জন্য আরো বেশী দুঃসময় আসছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সরকারের উচিত দেশ-জাতি-রাষ্ট্র-গণতন্ত্রের স্বার্থে অবিলম্বে বিরোধী দলগুলোর সাথে সংলাপের আয়োজন করা। সেই সংলাপের মাধ্যমে সকল দলের অংশগ্রহনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা।
নগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, কল্যাণ পার্টি যুগ্ম মহাসচিব মো. আল-আমিন ভুইয়া রিপন, ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, নগর যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, যুব নেতা আবদুল্লাহ আল কাউছারী, জাতীয় ছাত্র কেন্দ্রের সমন্বয়কারী সোলায়মান সোহেল প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন