বিশেষ প্রতিনিধি::
পটুয়াখালী জেলার চরকাজল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কালাম মাঝি খুনের প্রধান আসামী। ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বর্তমান মেম্বার হয়েছেন। অনুসন্ধানে জানা যায় , গত ২০১৩ সালে কালাম মাঝির কাছে পাওনা টাকা চাওয়ার ফলে আপন চাচাতো ভাই মিলন মাঝিকে খুন করেন গডফাদার কালাম মাঝি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। খুন করার পর পরই কালাম মাঝি গলাচিপা থানায় গিয়ে UD মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে মৃত মিলনের বড় ভাই সোবহান মাঝি দশ দিন শত চেষ্টা করেও থানায় মামলা দায়ের করতে পারেননি কারণ মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে থানা পুলিশ সব কালাম মাঝি ম্যানেজ করে নিয়েছেন। অবশেষে ২০১৩ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি গলাচিপা উপজেলা কোর্টে খুনের মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৪৫/২০১৩। কম পক্ষে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে মামলার সমস্ত রিপোর্ট কালাম মাঝির পক্ষে আনেন। সোবহান মাঝি ও তার পরিবারের সবাইকে খুন করার ভয় দেখিয়ে নারাজি না দেওয়ার জন্য বাধ্য করেন। এমনকি কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে মামলার সমস্ত নথি থানা ও কোর্ট থেকে গায়েব করে ফেলেন। শত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আবার কোর্টে নারাজি আবেদনের মাধ্যমে মামলাটি পুনরায় চালু করতে সক্ষম হন সোবহান মাঝি । মামলাটি বর্তমানে CID তে তদন্তাদীন আছে। চুরি, ডাকাতি থেকে শুরু করে সব ধরনের অপরাধের মধ্যেমে অনেক টাকার মালিক হয়েছেন কালাম মাঝি। সে একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করেন। সে এক সময় জামাতের ক্যাডার ছিলেন। বর্তমানে সে চরকাজল ইউনিয়নে ৫ নং ওয়ার্ডের মুজাহিদ কমিটির সভাপতি। ইসলামী লেবাস ব্যবহার করে সব ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন গত কয়েক বছর যাবৎ। দেখার কেউ নেই। যাদের দেখার কথা তাদের সবাইকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে চলছেন। গত ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাসী করে এবং ১২ লক্ষ টাকা দিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করে নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার অপকর্ম আগের থেকে বেড়ে গিয়েছে। সালিশির নাম করে সে বাদী ও বিবাদী পক্ষ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ
নিচ্ছেন । নৌকা প্রতীক নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান রুবেল মোল্লার পক্ষে কাজ করার কারনে কালাম মাঝির প্রতিপক্ষ মিলন হাওলাদার ও তার দলের লোকজনের উপর একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলা করেছেন গডফাদার কালাম মাঝি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এমনকি নির্বাচন কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে একজন পুলিশ অফিসারের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া সহ অসংখ্য লোকজনকে জখম করেছেন। নির্বাচন কেন্দ্রে হামলার পর পরই রিয়াজ খলিফার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায় এবং স্বর্ণ অলংকার সহ কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। অসংখ্য ভুক্তভোগী ও এলাকার শাস্তিপ্রিয় জনগণের বর্তমান সরকার ও প্রশাসনের কাছে জোড় দাবি জানাচ্ছেন। গডফাদার কালাম মাঝি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সবাইকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দেয়া হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন