মোঃ শেখ শহীদুল্লাহ্ আল আজাদ. স্টাফ রিপোর্টারঃ
বিশ্বের সকল দেশের ন্যায় বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায়, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন আজ বৃহস্পতিবার। সকাল থেকে দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে প্রশাসনের সদস্যদের। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশি চেকপোষ্ট। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হলেই তাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। খুলনার সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে খুলনার প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলা মোড়ে কয়েকটি ফলের দোকান ছাড়া বাকি সব বন্ধ ছিল। রোগী ও বয়স্ক মানুষ ছাড়া কাউকে বের হতে দিচ্ছে না প্রশাসনের সদস্যরা। খুলনার শিববাড়ি মোড়েও একই অবস্থা। অপ্রয়োজনে রাস্তায় মোটর সাইকেল বের করার অপরাধে কয়েকটি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা ও থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বিগত লকডাউনের সময় রাস্তায় গণপরিবহন দেখা গেলেও আজ সকাল থেকে রিকসা ছাড়া যান্ত্রিক পরিবহন বন্ধ ছিল। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম জানান, দেশে অস্বাভাবিক আকারে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। মন্ত্রী পরিষদের নির্দেশে লকডাউন চলমান রয়েছে। খুলনার অবস্থা খুব ভয়াবহ। রোগী ও বয়স্ক মানুষের প্রয়োজন ছাড়া সকলকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করছে। তাদের সাথে রয়েছে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা।এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি আভিযানিক দল বড় বাজারে দুই জনকে পনের শত টাকা জরিমানা করেছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম আরও জানান, মহামারি করোনার সময় সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বিয়ে সরঞ্জাম বিক্রেতা অসীম কুমারকে এক হাজার টাকা জরিমানা ও অপ্রয়োজনে মোটর সাইকেল নিয়ে বাইরে বের হওয়ায় একজনকে পাঁচশত টাকা জরিমানা করা হয়।