জেলা প্রতিনিধি,,রানা সরকার,,
গাইবান্ধায় নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যায় পানি বন্দি হওয়ার আতঙ্কে রয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। ভারতের গজালডোবার তিস্তা বাঁধের সব গেট খুলে দেওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি পাতের কারনে তিস্তা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি ক্রমশ বাড়তে থাকায় বন্যার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।
শনিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি ২১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং আগামী দুই এক দিনের মধ্যে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা পাড়ের বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক শতাধিক পরিবারের মানুষ ইতিমধ্যে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় বিভিন্ন সবজি ক্ষেত ,বাদাম , রোপা আমনের বীজতলা ও পাট ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে বিপাকে পড়েছে বন্যাকবলিত এলাকার এসব মানুষেরা।
এদিকে গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় গাইবান্ধা জেলার প্রায় সব কয়টি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শহর রক্ষা বাঁধ সহ বিভিন্ন উপজেলার বাঁধ ভাঙার কারনে গত বছর গাইবান্ধা পৌর এলাকার অর্ধেক পানির নিচে তলিয়ে যায় এবং জেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভিন্ন পয়েন্টে বাঁধ মেরামত করলেও অনেক জায়গায় বাঁধসহ নদীর পাড় এখনো অরক্ষিত অবস্থায় আছে। তাই এবার বন্যা হলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন,বন্যা মোকাবেলায় আমাদের সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।