রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাও) সংবাদদাতা ঃ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তৃণমুল পর্যায়েও একটি বাড়ি যেন বিদ্যুৎ থেকে বাদ না যায় এমন পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের। এ লক্ষ্যে ঠাকুরগাও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে পুরোদমে। কিন্তু সুবিধাবাদি একটি মহল গ্রামের সহজ সরল মানুষকে কথার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। প্রতারিত হচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। এ টাকা যোগান দিতে গিয়ে কেউ বিক্রী করছেন গরু, কেউ বা ছাগল। আবার কেউ কেউ সুদের উপর টাকা নিয়ে টাকা দিয়েছে দালালদের। আর এ ঘুষ দুর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে রাণীশংকৈল ২ এলাকা পরিচালক মোঃ নাসিরের বিরুদ্ধে। জনগণকে বোকা বানিয়ে প্রতিটি মিটার সংযোগ করে দেওয়ার নামে ৭ হাজার ১ শত টাকা করে দালাল চক্রের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে নাসির। যেখানে নতুন মিটার সংযোগে খরচ হয় ৭৫০ টাকা। উপজেলার রাউৎনগর গ্রামের হামিদুরের ছেলে আঃ সাত্তার বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসানের কাছে বৃহস্পতিবার অভিযোগ পত্র দেন। অভিযোগকারি জানান গুচ্ছগ্রামের প্রায় ৩৬০ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ৭ হাজার ১০০ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে। টাকা ফেরৎ চাইলে বিদ্যুৎ পাবেনা বলে গ্রাহকদের হুমকী দেয় প্রতারকচক্র। অভিযোগের অনুলিপি ৩০১ সাংসদ মোছাঃ সেলিনা জাহান লিটা, ডিজি মহোদয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করার কথা জানান তিনি। এর আগেও কয়েক দফায় ইলেক্ট্রিশিয়ান রবি ও এলাকা পরিচালক নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে জোরাল অভিযোগ উঠলেও দূর্ণীতির সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগ সাজস থাকায় দুর্ণীতিবাজরা পার পেয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা দুর্ণীতিমুলক কাজে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। প্রতারিত হচ্ছে গ্রামের সহজ সরল খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
ঠাকুরগাও পল্লী বিদ্যুতের সাব জোনাল কার্যালয়ে এলাকা পরিচালক মোঃ নাসিরউদ্দিনের দুর্ণীতি নিয়ে কথা বলার সময় এজিএম এহতেসামুল খান বলেন, মানুষ কাজের জন্য অফিসে আসলে তাদের যদি বলা হয় আপনার কাজে ৫-৬ দিন সময় লাগবে তখন তারা বিশ্বাস করেননা। আর যদি একই কাজে টাকা নিয়ে বলা হয় আপনার কাজে ১০ দিন সময় লাগবে তখন সেটাই বিশ্বাস করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে সরেজমিনে তদন্ত সম্পন্ন করা হবে জরুরী। দোষিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *