কামরুল ইসলাম হৃদয়, চট্টগ্রাম অফিস:
ভ্যালেন্টাইনস ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে উৎসবে মুখর হয়ে উঠেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক রূপ প্রকাশের আনুষ্ঠানিক দিন আজ। তবে এ ভালোবাসা কেবল তরুণ-তরুণীর নয়, বাবা-মার প্রতি সন্তানের, তেমনি মানুষের প্রতি মানুষেরও। ভালোবাসা ও অনুরাগে উদযাপিত হচ্ছে দিবসটি। উৎসবের ছোঁয়া লেগেছে গ্রামীন জনপদেও। বছরের এই বিশেষ দিনটিকেই অনেকে মনের যত বাসনা ও অব্যক্ত কথা প্রকাশ করেন প্রিয়জনের হাতে রক্তরাঙা গোলাপ দিয়ে। কেউবা প্রিয়জনের সাথে মোবাইল ফোনের মেসেজ, ই-মেইল অথবা অনলাইনের চ্যাটিংয়ে পুঞ্জ পুঞ্জ ভালোবাসার কথা পরিস্ফুটিত করছেন। আবার কেউ কেউ কেক চকোলেট, পারফিউম, কার্ড, প্রিয় পোশাক অথবা বই উপহার দিচ্ছেন তাদের প্রিয়জনকে। এছাড়া বিভিন্ন হোটেল-মোটেল ও রেষ্টুরেন্টে প্রিয়জনকে নিয়ে ভালোবাসা দিবস পালন করছেন। এদিকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে নগরীর সিআরবির ছায়াঘেরা শিরীষতলা, ডিসিহিল, জিয়া শিশু পার্ক, কর্ণফুলি শিশুপার্ক, সীবিচ, পতেঙ্গা, নেভাল সড়ক, ফয়েজ লেক, স্বাধীনতা পার্ক ও প্রজাপতি পার্ক এগুলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিনোদন প্রেমীরা। কেউ বন্ধুদের নিয়ে, কেউ প্রিয়তম, কেউ আবার পরিবার-পরিজন নিয়ে আসছেন এসব স্থানে। বেলা যত গড়াচ্ছে ভিড় ততই বাড়ছে। নগরীর সীবিচে ফুচকা ব্যবসায়ী কাদের ও ঝালমুড়ি বিক্রেতা আমির জানান, সকাল থেকেই তাদের বেচাকেনা জমে উঠেছে। তবে বিকেলে আরও বেশি মানুষ বিচে বেড়াতে আসবেন। তখন তার ব্যবসা পুরোদমে জমে উঠবে। এদিকে সকাল থেকে নগরীর ফুলের দোকান গুলোতে তরুণ-তরুণীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সেই সাথে নগরীর উপহার সামগ্রীর দোকানগুলোর বিকিকিনিও জমে উঠেছে। নগরীর ফুলের গলী নামে খ্যাত চেরাগীপাহাড় এলাকার ফুল ব্যবসায়ী নেতা নাছির গনি জানান, লাল গোলাপের চাহিদাই বেশি। তবে গাঁদা ও রজনীগন্ধা ফুলও বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ফুলের সংমিশ্রণে তৈরি ফ্লাওয়ার রিং বেশি বিক্রি হচ্ছে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছাত্রীরাই তাদের প্রধান ক্রেতা। তবে তরুণ-তরণী ছাড়াও বিভিন্ন বয়সের মানুষও ফুল কিনতে ছুটে আসছেন। সব ফুলের দাম আগের মতই আছে। শুধু গোলাপের দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু আনন্দের মুহূর্তে কেউ আর দাম নিয়ে বাড়াবাড়ি করছেন না বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *