মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুর চিরিরবন্দরে গত কয়েক বছর ধরে আগাম রসুন চাষ হচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় চলতি বছর প্রচুর পরিমাণে আগাম ও মোক্ষম সময়ে রসুন চাষ করছে চাষিরা। উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, আগাম চাষকৃত এসব রসুনের ফলন বাম্পার হয়েছে। বর্তমানে রসুন তুলে কাচা এবং আধা শুকনা অবস্থায় বিক্রি করে সন্তোষজনক দাম পাচ্ছে চাষিরা।
উপজেলায় কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান জানান, এ বছর ৩ শত ৪৭ হেক্টর জমিতে রসুন চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু রসুন চাষ হয়েছে ৫ শত ৮০ হেক্টর জমিতে। যা গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি।এ বছর প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে আগাম রসুন চাষ হয়েছে এবং বাজার মূল্য বেশি পাওয়ার আশায় চাষিরা এসব রসুন অপরিপক্ষ অবস্থায় উত্তোলন করে বিক্রি করছে। তবে চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রসুনক্ষেতে কোন ধরনের ইনজুড়ি কিংবা অন্যান্য রোগের আক্রমণ কম হয়েছে।
আগাম রসুন চাষীদের মধ্যে সাতনালা গ্রামের রসুন চাষী জাকির হোসেন ও আলোকডিহি গ্রামের বেলাল হোসেন, তেঁতুলিয়া গ্রামের আবু সাইদ, মোফাজ্জল হোসেন,সাগর, সোলেমান আলী, জোত সাতনালা গ্রামের মতিয়ার হোসেন, মুকুল হোসেন,শাহীনুর রহমান ও আইজুল ইসলাম রসুন চাষে আলোচিত হয়েছে।
রসুন চাষী মুকুল বলেন, এক বিঘা জমিতে রসুন চাষে বীজ, সার, বপন, হাল চাষ, নিড়ানী ও অন্যান্য খরচ হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার টাকা। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪০ মণ। যার বর্তমান বাজার মূল্য এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। উৎপাদন ও আনুসাঙ্গিক খরচ দিয়ে মুনাফা থাকে প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকার মত। তবে রসুনের এ বাজার পুরো মৌসুম সময় থাকবে কিনা নিশ্চিত নন তিনি ।