pic-2

মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ
দিনাজপুর চিরিরবন্দরে মানুষ অতিষ্ট ট্রাক্টরের যন্ত্রনায়। উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়ক ও গ্রামীণ সড়কে এখন দাবিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ যন্ত্রদানব ট্রাক্টর। চাষাবাদের জন্য আমদানিকৃত ট্রাক্টর এখন অবৈধ ট্রাক বা পরিবহন হয়ে গ্রামীণ জনপদে সর্বনাশ ঘটাতে শুরু করেছে। কৃষি উন্নয়নের জন্য এসব ট্রাক্টর আমদানি করা হলেও মালিকরা এগুলো ব্যবহার করছে ইট, বালু, মাটি, ফার্নিচার, ইত্যাদি মালামাল পরিবহনের কাজে।
ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচল গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে। কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে ইটভাটায় সরবরাহ করছে। ট্রাক্টরের অত্যাচারের মুখে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। রোড পারমিশন বিহীন ট্রাক্টর ও সনদ বিহীন ড্রাইভারদের কারণে রাস্তাা-ঘাটে চলাচলকারী মানুষ সার্বক্ষণিক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে চলাচল করছে। বিকট শব্দে মাটি বোঝাই নিয়ে সাদা পাউডারের মত ধুলো উড়িয়ে ধাবিয়ে চলেছ ট্রাক্টরগুলো। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষি জমি থেকে মাটি বোঝাই নিয়ে মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক ও গ্রাামীণ সড়ক গুলোর উপর দিয়ে ব্যাপক হারে চলাচল করছে। বিশেষ করে চিরিরবন্দর- নশরতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের সংযোগ সড়ক- রাণীরবন্দর হইতে দেবীগঞ্জ বাজার সড়কে সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত প্রায় শতাধিক ট্রাক্টর কৃষি জমি থেকে মাটি বোঝাই নিয়ে বিভিন্ন ইট ভাটায় যাচ্ছে। তাছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন না হওয়ায় ১৫ থেকে ২০ বছরের শিশু-কিশোররাও এসব ট্রাক্টর অবাধে চালাবার সুযোগ পাচ্ছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূঘর্টনা।
অ্যাম্বিশন স্কুল শিক্ষক মো: সাদেকুল ইসলাম জানায়, চিরিরবন্দর যাওয়ার একটি মাত্র প্রধান রাস্তা যা চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে গেছে রাণীরবন্দর থেকে চিরিরবন্দর পযন্ত ইটভাটার সংখ্যা প্রায় ১০টি ফলে এ রাস্তা দিয়ে যাতায়েত করলে অসংখ্য ট্রাক্টরের দেখা মেলে। ছাত্র-ছাত্রী দের স্কুলে পাঠাতে প্রতিনিয়ত অভিভাবকরা উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছেন।
পথচারী মো: মকবুল হোসেন জানান, সূযের আলো থাকার পরও রাস্তার আশপাশ এলাকায় কুয়াশার মতো ট্রাক্টরের সৃষ্ট ধুলোয় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে। আর ধুলোর মধ্যে দিয়ে চলাচল করায় সর্দি কাশি শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার শিশুসহ সব বয়সের মানুষেরা।
নশরতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো:নুর ইসলাম নুরু ও সাতনালা ইউপি চেয়ারম্যান মো: ফজলুর রহমান এর সাথে কথা হলে তারা জানায়, ভারী যানবাহনের ফলে গ্রামীন কাচাঁ রাস্তা গুলোর ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয় । আবার চরম ভাবে পরিবেশ দুষিত হয়। গ্রামীন রাস্তায় ট্রাক্টর চলাচল বন্ধে উপজেলায় সমন্বয় মিটিং হওয়ার কথা আছে।
তবে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের কাছে ট্রাক্টর বন্ধের দাবী করে বলেন,আমরা বুঝতে পারি না, ট্রাক্টর চলাচল বন্ধের কাজটি কেন এতো কঠিন। ট্রাক্টর চলাচলে যাদের স্বাথরক্ষা হয়, তারা কি অকাল ও অস্বাভাবিক মৃত্যুরোধে সকল কিছুর ঊর্ধ্বে সর্বশ্রেষ্ঠ আদালত নিজের বিবেকের রায়ে সেই স্বার্থ জলাঞ্জলির কথা মোটেও ভাবতে পারেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *