মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ১২ ইউনিয়নের কাঁচা-পাকা অনেক রাস্তা বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ায় এলাকাবাসীর চলাচলসহ যাতায়াত ব্যবস্তা দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে উপজেলার ১২ ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়ে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। সেইসাথে কাঁচা-পাকা ডুবে ও প্রখর ¯্রােতে পাকা রাস্তার বিটুমিন ও কাঁচা রাস্তা ভেঙ্গে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে চিরিরবন্দর হতে বলাইবাজার দিয়ে কুতুবডাঙ্গা পর্যন্ত, শিমুলতলী হতে আমতলী পর্যন্ত, ঘুঘুরাতলী হতে রাণীরবন্দর পর্যন্ত, বেলতলী হতে বিন্যাকুড়ি পর্যন্ত পাকা রাস্তাগুলো তুলনামূলক বেশী ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানির তীব্র ¯্রােতের কারনে কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। এছাড়া কাঁচা রাস্তাগুলোর মাটি সরে গিয়ে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। ফলে রাস্তাগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে জনদুর্ভোগে পরিনত হয়েছে। এসব রাস্তা দিয়ে ভারি কোন যানবাহন চলাচল করতে না পারায় পুরো উপজেলায় বিভিন্ন পন্য সরবরাহ বিঘিœত হচ্ছে। এমনকি স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচল যথেষ্ট কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। চিরিরবন্দর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ফিরোজ আহমেদ জানান, বন্যায় উপজেলার পাঁকা রাস্তার ১২২ কিলোমিটারের মধ্যে ১০ কিলোমিটার ও কাঁচা রাস্তা ৬৬৯ কিলোমিটারের মধ্যে ৬০০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে অনেক স্থানে বন্যার পানী নিস্কাশনের জন্য স্থানীয় লোকজন রাস্তা কেটে দেয়ায় কোন কোন সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বন্যার পানির তোড়ে ড্রেন কালভার্টের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে সড়কে ২১ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ও বাঁধের ৪ কোটি ৯৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করানো হয়েছে ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো উপজেলা তহবিল থেকে তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো: গোলাম রব্বানী জানান, শুধু রাস্তা নয় সমস্ত ক্ষতির তালিকা তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে অতি শীর্ঘই মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *