-রেল মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন এম,পি
নাজমুল হুদা পারভেজ ঃ-
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আসলে কুড়িগ্রামের মানুষকে, বিশেষ করে পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী, তাদের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত সচেতন। বিশেষ করে কুড়িগ্রাম, নীলফামারী , লালমনিরহাট এর যে অঞ্চলটি তিস্তা নদী ভাঙনের কারণে এক সময় মঙ্গা পীড়িত অঞ্চল হিসাবে পরিচিত ছিল। আজকে সেই অঞ্চল গুলোতে কিন্ত মঙ্গার কথা শোনা যায় না। কাজেই আজ তিনি উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছেন। যদি বলেন উন্নয়নের কথা, লালমনির হাট রেল ষ্টেশনেকে উনি উন্নয়ন করছেন, কুড়িগ্রাম রেল স্টেশনটার ইতিমধ্যে উন্নয়ন হয়ে গেছে, তারপর আমরা রংপুর রেল স্টেশনের উন্নয়ন করছি এরপর উলিপুর রেল স্টেশনের উন্নয়ন হবে। এই চিলমারীর রমনা রেল স্টেশনটিরও উন্নয়ন হবে। কুড়িগ্রাম থেকে উলিপুর পর্যন্ত আপাতত আমরা রেল লাইন আপগ্রেড এর কাজ করছি। উলিপুর রেলওয়ে স্টেশনের উন্নয়ন হলে কুড়িগ্রাম এক্্রপ্রেস তখন উলিপুর রেল স্টেশন পর্যন্ত আসবে। উলিপুর থেকে রমনা রেল লাইন ও স্টেশনও আপগ্রেড করা হবে। তখন চিলমারী নৌ বন্দরের রমনা রেল স্টেশন থেকে ঢাকা পর্যন্ত সরাসরি কুড়িগ্রাম এক্্রপ্রেস ট্রেনটি চলবে। আরে বাহে, রেল লাইনট্যা ঠিক কইরব্যার দ্যাও। ট্রেনটা চইলবে কিসোত?
গতকাল শুক্রবার কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা রেল স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় রেল মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন এম,পি উল্লেখিত কথা গুলি বলেন। সকাল ১১টায় তিনি রংপুর থেকে সড়ক পথে চিলমারী উপজেলার রমনা রেল ষ্টেশন টি পরিদর্শনে আসেন। এসময় তার সাথে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন এমপি সহ রেল সচিব, ডিজি, অ্যাডিশনাল জেনারেল, জি,এম, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, উলিপুর ও চিলমারীর উপজেলার আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দসহ চিলমারী উপজেলা আ’লীগের সহযোগী সংগঠন গুলোর নেতা কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রেল মন্ত্রী বলেন,আমি দায়িত্ব নেয়ার পর দেখেছি যে, কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকার সঙ্গে কোন ট্রেন যোগাযোগ ছিল না। কুড়িগ্রামের মানুষ সাঁটল ট্রেনের মাধ্যমে লালমনির হাটে গিয়ে ঢাকার ট্রেন ধরতেন। আমরা আসার পরে নতুন একটি এক্্রপ্রেস ট্রেন চালু করেছি। নতুন ইঞ্জিন, বগি সব কিছু দিয়ে এবং সেটা কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস নামে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস নাম দিয়ে নতুন এই ট্রেনটি চালু করেন। বিগত সরকার গুলি চিলমারী পর্যন্ত লাইনটি তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। যার কারণে রাজারহাট থেকে রেলের জায়গার উপর দিয়ে সড়ক পথ করা হয়েছে। কিন্ত মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এই রেলকে সম্প্রসারণ করার জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। ওনার রাষ্ট্র পরিচালনার যে পরিকল্পনা তার অধীনে তিনি চিলমারী বন্দরকে একটা বড় ধরনের সক্ষমতা তৈরি করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। একই সাথে রেল যোগাযোগ ও নৌ পরি বহন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য যাতে আমরা প্রতিবেশী দেশ গুলোর সাথে যোগাযোগ করতে পারি তার জন্য চিলমারী নৌ বন্দরের উন্নয়ন কাজ চলছে।
সাংবাদিকদের সম্পূরক এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিএনপি, জামাত যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা রেলের কোন উন্নয়ন করে নাই রেলের যা ছিল তা আরও কমিয়ে দিয়েছে খালেদা জিয়ার সময় নির্দেশ দিয়েছিল কাউনিয়া থেকে চিলমারী পর্যন্ত রেল লাইনটা উঠিয়ে দিতে। কিন্ত আমাদের প্রধানমন্ত্রী রেলের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের মহা পরিকল্পনা হাতে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ রেলে জনবলের যে সংকট তা দূরিকরণের কাজ চলছে। রেলের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে যে কাজ গুলি এখন আমরা করছি তা বিশ বছর পূর্বে সম্পন্ন হয়ে যেত।
রমনা রেল ষ্টেশন পরিদর্শন শেষে রেল মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন এম,পি চিলমারী রমনা ঘাট নৌবন্দর পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি সরাসরি সড়ক পথে উলিপুর উপজেলায় চলে যান। সেখানে তিনি প্রথমে উলিপুর রেলওয়ে ষ্টেশন পরিদর্শন শেষে স্থানীয় জন গনের সাথে মত বিনিময় করেন। এরপর মন্ত্রী উলিপুর মসজিদুল হুদায় জুম্মার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে তিনি লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।