কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
চেহারার সাথে ছবি মিলিয়ে পরিচয় যাচাই নয়, ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় যাচাইয়ের দাবিতে কুড়িগ্রামে সমাবেশ ও প্রধান নির্বাচন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে পর্দানশীন নারীরা।
সোমবার সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করেন পর্দানশীন নারী সমাজ নামক সংগঠন।
এর আগে তারা দাবী আদায়ে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন। এতে জেলার প্রায় ৪ শতাধিক পর্দানশীন নারী অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধনে ১৬ বছর যাবত পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব বঞ্চিত রাখার প্রতিবাদ জানান তারা।
পরে একটি র‌্যালি নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে।
এ সময় পর্দানশীন নারী সংগঠনের সংগঠক আহমদ উম্মুল হায়া লিখিত বক্তব্যে তিন দফা দাবী তুলে ধরে বলেন, বিগত ১৬ বছর যাবত যে সমস্ত সাবেক ইসি কর্মকর্তা পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবাধিকার বঞ্চিত করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। পর্দানশীন নারীদের ধর্মীয় ও প্রাইভেসীর অধিকার অক্ষুন্ন রেখে অবিলম্বে এনআইডি ও শিক্ষা অধিকার প্রদান করা। সকল ক্ষেত্রে পরিচয় সনাক্তে চেহারা ও ছবি মেলানোর সেকেলে পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করতে হবে। পর্দানশীন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ার সময় পুরুষ নয়, নারী সহকারী বাধ্যতামূলক রাখতে হবে।
তারা আরো বলেন, বিশে^র উন্নত দেশগুলোতে শুধুমাত্র ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করে। যেখানে নারীদের পরিপূর্ণ পর্দা করা সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু বাংলাদেশ একটি মুসলিম রাষ্ট্র হয়েও আমরা আজ নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত। শুধুমাত্র পর্দা করার কারণেই এনআইডি না করে আমাদের নাগরিত্ব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এনআইডি না থাকায় আমরা বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছি। তাই আমাদের দাবীগুলো অনতিলম্বে আদায় না করা হলে দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
#

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন