আতাউর রহমান বিপ্লব
আমি বৃক্ষের কাছে চাই ছায়া,, জীবনের কাছে চাই শক্তি,,ইতিহাসের কাছে নেই সত্যের শিক্ষা। বেদনাবিধূর এই দিনকে ঘিরে গোটা জাতী আজ একত্রিত। এই স্মৃতি বেদনার ও অনুভবের । বারবার একটি আত্নপ্রশ্ন আমাকে তাড়িত করে, কেউ কি দেখেছে এমন মৃত্যু ? শুধু বাংগালী জাতী নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এ ধরনের হত্যাকান্ড বিরল। এতটা নির্মম আর পৈশাচিক হত্যার শিকার হয়নি কোন রাজনিতিবিদ। একের পর এক কন্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিতে দিতে, বাংগালী জাতী আজও থাকে স্মরন করে বিরল মততায় শ্রদ্ধায়।
পিতা মুজিব তার বিশ্বাস গচ্ছিত রেখে গেছেন এদেশের মাটি আর মানুষের কাছে।। আমজনতা সেই বিশ্বাস রক্ষা করেছে বটে কিন্তু তাকে রক্ষা করতে পারেনি।। মানুষের মনে যিনি পৌঁছান, তখন মানুষই তার বিচারক হয়ে ওঠেন। তার বিশেষণ বা অলংকারের প্রয়োজন হয় না।। স্বপ্ন হত্যার ৪৭ বছর পরোও আমরা কি তাকে নিয়ে শুধু স্মৃতির মিনার গড়বো? আসুন শোক কে শক্তিতে পরিনত করি।। আত্নবিশ্লষনের মধ্য দিয়ে ফিরিয়ে আনি পিতা মুজিবের কর্মময় জীবনের আদর্শ। একটি দেশ,একটি জাতী ,অমিত সাহশ ও দুর্বার প্রেরনায় জেগে উঠার সুপ্তমন্ত্র উচ্চারণ করেছেন শেখ মুজিবুর রহমান। তার মৃত্যুর কি প্রয়োজন ছিল? এ লজ্জা রাখবো কোথায়। এই বেদনা- বিধূর স্মৃতিই আমাদের বিবেক জাগ্রত করুক। তাকে শ্রদ্ধা জানানোর আগে নিজেদের আত্ন অহমিকা ও আত্ন প্রতারনার বলয় থেকে মুক্ত হতে হবে। পিতা মুজিবের স্বপ্নময় সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে সফল করার প্রেরনা আজ আমাদের শক্তি হয়ে উঠুক।। আত্নশক্তির সততাই হোক তাকে শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যম। এ সত্য অনুভবের, প্রকাশের নয়। তবুও ভেজা চোখে সবিনয় মিনতি, আবার কবে আসবে তুমি ।
লেখক, খ,ম আতাউর রহমান বিপ্লব সাধারণ সম্পাদক কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব।