এস.এম হোসাইন আছাদ, জামালপুর ॥
জামালপুর ও শেরপুর জেলা সদরে অবস্থিত দুটি গরুর হাট নিয়ে মতবিরোধে হয়রানির শিকার গরু ব্যবসায়ীরা। শেরপুর-জামালপুর ফেরিঘাট ব্রীজ সংলগ্ন জয় বাংলা গরুর হাটে ঢুকতে পারছে না গরু ব্যবসায়ীরা। ঢোকার পথে বাধা দিচ্ছে এমন অভিযোগ উঠেছে ডাকপাড়া গরুর হাট পরিচালনা কমিটির লোকজনের নামে। জানা গেছে, স¤প্রতি জামালপুর পৌরসভার ডাকপাড়া মোড়ে আদর্শ কল্যাণ সংস্থার নামে একটি গো-হাট স্থাপিত করা হয়। ওই গরুর হাট দেওয়ার পর থেকেই জামালপুর থেকে শেরপুরের আলহাজ আব্দুস সামাদ নিয়ন্ত্রিত জয় বাংলা গরুর হাটে নিয়মিত পাইকারদের গরু নিয়ে যেতে বাঁধা দেওয়া হয়। জয় বাংলা গরুর হাট পরিচালনা কমিটির অনেকে অভিযোগ করে বলেন, শেরপুরের ফেরিঘাট সংলগ্ন আমাদের গরুর হাটটি ঐতিহ্যবাহী হাট। দীর্ঘদিন ধরে এই হাটে দূর-দূরান্ত থেকে গরু ব্যবসায়ীরা তাদের গরু নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু বেশ কিছুদিন যাবত লক্ষ্য করা গেছে নতুন করে জামালপুর শহরের ডাকপাড়া এলাকায় অবৈধভাবে গরুর হাট স্থাপন করেছে স্থানীয়রা। ওই গরুর হাটের লোকজনেরা আমাদের গরুর হাটে আগত পাইকারদের আসতে বাঁধা দিচ্ছে। তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী গরুর হাটকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে তারা অবৈধভাবে গরুর হাট দিয়েছে। আমাদের এই গরুর হাটে সপ্তাহে দু’দিন শনিবার ও মঙ্গলবার হাট বসে। কিন্তু তারা আমাদের ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে একই দিন হাট চালু করেছে। আমরা এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে, ডাকপাড়া আদর্শ কল্যাণ সংস্থার গরু হাট পরিচালনা কমিটির সদস্যরা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাদের হাট পরিচালনা করছি। কোন পাইকারদেরকে আমরা জোর করে বাঁধা দিচ্ছিনা। আমরা আমাদের হাট সম্পর্কে শুধু গরু ব্যবসায়ী মাইকিংয়ের মাধ্যমে বলছি ও তাদের আমাদের হাটের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে জানাচ্ছি। তাদের এরকম অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন।
ডাকপাড়া আদর্শ কল্যাণ সংস্থার গরুর হাটে গরু ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন- আমাদের কোন প্রকার জোর করা হয়নি। আমরা জানি না এইখানে গরুর হাট হয়েছে। আমরা হাট সম্পর্কে জেনে ভাবছি যদি ভটভটি করে গরু নিয়ে ব্রীজ পাড় হই তবে আমাদের যাতায়াতের খরচ হয়। তাই আমরা ডাকপাড়ার এই হাটে গরু বিক্রয় করতে আসছি। ওই হাটের থেকে যদি আমরা এই হাটে বেশি সুবিধা পাই তবে কেনো ওই হাটে যাবো? আমরা যেখানে সুবিধা বেশি পাবো সেই হাটেই ব্যবসা করবো।