কুড়িগ্রাম থেকে-রফিকুল হায়দার,(সিনিয়র ষ্টাফ রির্পোটার )
প্রতারনা ও জালিয়াতির মামলায় অর্ধমাস যাবত জেল হাজতে থাকা রাজারহাট সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক দিলরুবা বেগম ঝুমার বিরুদ্ধে চাকুরী বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন মামলার বাদী খোরশেদ আলম।
বুধবার তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট এই অভিযোগ দাখিল করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি কলেজের প্রভাষক হওয়া সত্বেও নীতিমালা লংঘন করে ছিন্নমুকুল বাংলাদেশ এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক হয়েছিলেন দিলরুবা। এরপর সংস্থাটির সাইন বোর্ড ব্যবহার করে অনৈতিক ভাবে অর্থ উপার্জন সহ বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে তিনি কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব পনির উদ্দিন আহমেদ ও কুড়িগ্রাম জেলা সমাজ সেবা অফিসের সাবেক উপ-পরিচালক যোবায়ের আহমেদ এর স্বাক্ষর জাল করেন। এঘটনায় কুড়িগ্রাম ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব পনির উদ্দিনের পক্ষে উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের খোরশেদ আলম বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলায় দিলরুবা বেগম উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন পেয়েছিলেন।
পরে ২১ অক্টোবর তিনি কুড়িগ্রাম সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্নসমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। এরপর থেকে তিনি জেল হাজতবাস করছেন।
মামলার বাদী খোরশেদ আলম জানান, দিলরুবা বেগম ঝুমার বিরুদ্ধে আরো একটি প্রতারনার মামলা বিচারাধীন রয়েছে, তিনি বিভিন্ন পদ-পদবী ব্যবহার করে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আমি চাকুরী বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ (ডকেট নং-৯০৩৯,তারিখ-০৩/১১/২১) দাখিল করেছি।
এ বিষয়ে সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম রানা জানান, দিলরুবা বেগমকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তার বেতন (মান্থলি পে-অর্ডার) বন্ধ সহ বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *