মমিনুল ইসলাম বাবু কুড়িগ্রামঃ
জাহেনারা বেওয়া (৮১) স্বামী কসমুদ্দিনকে হারিয়েছেন ৭১’ সালে। ১ মেয়ে ১ ছেলে কে নিয়ে সংসার । ছেলে মেয়ের বিয়ে হয়েছেন আলাদা। তিনি অন্ধ চলতেও পারেনা ঠিক মতো। নেই প্রতিবন্ধি কিংবা বয়স্ক ভাতার কার্ড, মেলেনি বিধাব ভাতা ও। চিলমারী উপজেলার রমনা মিয়া পাড়া এলাকার বাঁধেই ছিল তার ছোট্ট সাজানো অভাবী সংসার। উচ্ছেদ অভিযানে সরিয়ে নেন ঘরটি কিন্তু নেই থাকার কোন স্থান তাই বাধ্য হয়েই বাঁধের পাশেই নালায় একটি ছোট্ট ছাপরা (ঘর) তুলে কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন যাপন। কষ্টের উপর কষ্ট এখন করোনার থাবা। আতঙ্ক এখন গ্রামে গ্রামে। অন্ধ এই বৃদ্ধা মানুষের বাড়ি ওবাড়ি ঘুরে ভিক্ষা করে কষ্ট করেই চলতো কিন্তু করোনা ভাইরাসের ভয়ে পারছেনা বাড়ি থেকে বেরুতে আবার অন্যের বাড়িতেও পারছেনা দিন যাচ্ছে বাড়ছে কষ্ট তবুও নেয়নি কেউ তার খবর কেউ। ভাগ্যে জোটেনি এক মুঠো সাহায্য। কষ্টভরা মন নিয়ে জাহারানা বলেন বাবারে হামরা গরীব মানুষ হামার দেহি কেডা দেহে, যামরা পায় তামরাই সব সময় পায়। একই এলাকার বোলা বেওয়া ৬ বছর আগে হারিয়েছে স্বামীকে নেই ছেলে মেয়ে। বাস করতো বাঁধের উপর তিনিও সরিয়ে নিয়েছেন থাকার ঘরটি রয়েছেন রাস্তার পাশে। হাত পেতেই চলতে হতো তাকে কিন্তু করোনায় ভয়ে বৃত্তবানরা গেটে দিয়েছে তালা বিপদে পড়েছে বোলো বেওয়াও পাচ্ছেনা বের হতে অনেক কষ্ঠে খেয়ে না খেয়ে দিন যাচ্ছে তার। সরকারের ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হলেও বোলো বেওয়া ও ভাগ্যে জোটেনি এক মুঠো চাল। মিনু বালার ভাগ্যে ১০ কেজি চাল জুটলেও এখনো জোটেনি থাকার একটি স্থান। কখনো রাস্তার ধারে কখনো এ পাড়ায় কখনো অন্যের বাড়িতে কাটছে মিনু বালার কষ্টের জীবন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *