ফারহানা আক্তার, জয়পুরহাট প্রতিনিধি ঃ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার গোপলপুর গ্রামের মো. বাবু আলীর ছেলে লিটন (২৮) ডায়েরীয়াতে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সে ভর্তি হলেও পযার্প্ত সেবা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। কর্তব্যে গাফিলতি ও সময়মত রোগীকে দেখভাল না করায় চিকিৎসক ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। রবিবার সকালে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সে এঘটনা ঘটে।
ডায়েরীয়ায় আক্রান্ত রোগী লিটন বলেন, গতকাল শনিবার বেলা ১১ টার দিকে ডায়েরীয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সে ভর্তি হয়েছি। ভর্তির সময় স্যালাইন ও কয়েকটি খাবার বড়ি দিয়ে চলে যায় হাসাপাতালের ইমার্জেন্সিতে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক। এরপর থেকে কোন চিকিৎসক আর আমাকে দেখতে আসেননি। তিঁনি আরো বলেন, রবিবার সকাল ১০ টা বেজে যায় তবুও চিকিৎসক না আসায় আমি আরো গুরত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়ি। এরপর বাধ্য হয়ে আমার স্বজনদের ফোন দিলে তাঁরা আসলে আমার চিকিৎসা শুরু হয়।
এঘটনায় রোগীর স্বজন লিটন মন্ডল বলেন, হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘন্টা পরেও চিকিৎসক রোগীর কাছে না আসার কারন জানতে হাসপাতালের (আরএমও) ডাঃ মো. আলা আমিনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে রোগীর স্বজনরা। এসময় কর্তব্যরত ওই চিকিৎসক রোগীর স্বজনদের বাহিরে যেতে বলে। একাধিকবার বলেও সাড়া না দেওয়ায় রোগীর স্বজন চড়াও হয়ে চিকিৎসককে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করতে থাকে। রোগীর স্বজন ও চিকিৎসকের মাঝে বাক বিতণ্ডা দেখে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক সহকারী সার্জন ডাঃ নাসরিন সুলতানা ওই রোগীর চিকিৎসা শুরু করে।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সের (আরএমও) ডাঃ মো. আল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ট্রেনিং থেকে ফিরে এসে হাসপাতালে যোগদান করে আউটডোরে নিয়মিত রোগী দেখছি। ইতিমধ্যে ওই ব্যাক্তি এসে বলে আপনার সঙ্গে ২ মিনিট কথা আছে। আমি তাকে একটু অপেক্ষা করতে বললে সে আমার উপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার্ ডাঃ মো শহীদ হোসেন বলেন, পরবর্তীর এমন ঘটনা আর যেন না হয় সেই বিষয়টি বলে দেওয়া হবে। তাছাড়া বেশকিছু দিন থেকে চিকিৎসক সংকট নিয়েও মানসম্মত সেবা প্রদানে সবার্ত্তক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন