ফারহানা আক্তার,, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাস্তার নির্মাণ সামগ্রী কুচি পাথর ও পিলার কয়েক মাস থেকে ফেলে রেখেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টিএইচ কনস্ট্রাকশণ। এতে মাঠ দখলে রাখায় ওই বিদ্যালয়ের ২৮০ জন কোমলমতি শিক্ষার্থী খেলাধুলা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে এমন অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিন বিদ্যালয়ে দেখা যায়, উপজেলার হিন্দা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুচিপাথরের স্তুপ রয়েছে। মাঠের পশ্চিম পাশে শহীদ মিনার ঘেঁষে অনেকগুলো ইট-সিমেন্টের পিলার তৈরি করে সেখানেই ফেলে রেখেছেন এবং মাঠে ভাঙ্গাইট ও ছোট ছোট ইটের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে।
এতে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের পাঁচটি শ্রেণির ২৮০ জন শিক্ষার্থী জাতীয় সংগীত, পিটিসহ শীতকালীন সকল প্রকার খেলাধুলা থেকে বঞ্ছিত হয়ে আসছেন।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, বিদ্যালয় মাঠে দীর্ঘ কয়েক মাস থেকে রাস্তার নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। এ কারণে আমরা জাতীয় সংগীত পরিবেশনসহ বিভিন্ন খেলাধুলা, চলাফেরা ও স্কাউটিং প্রশিক্ষণ নিতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এ সব নির্মাণসামগ্রী দ্রুত অপসারণ করার দাবি জানাই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজাবর রহমান বলেন, ভাসিলা-ফুলদিঘী পাকা রাস্তার সংস্কার কাজ চলছে। ওই রাস্তার নির্মাণসামগ্রী কয়েক মাস থেকে বিদ্যালয় মাঠে ফেলে রেখে নিখোঁজ রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এক সপ্তাহের জন্য নির্মাণসামগ্রী রাখার মৌখিক অনুমতি চাইলে উন্নয়ন কাজের স্বার্থে রাখতে বলেছিলাম। তবে লিখিত কোন অনুমতি নেই। তারা এক সপ্তাহের কথা বলে মাসের পর মাস ওই সব নির্মাণসামগ্রী মাঠে ফেলে রেখেছেন। তারা বিগত কয়েক মাসে একবারের জন্যও যোগাযোগ করেননি। এতে আমার বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও মুক্তমনে চলাফেরা থেকে বঞ্ছিত রয়েছে।
রাস্তা নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টি এইচ কনস্ট্রাকশণ এর স্বত্বাধিকারী সেলিম মিয়া বলেন, আমি ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুর গফুর মন্ডল ও প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েই নির্মাণসামগ্রী রেখেছি।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) রাশেদ ইমরান বলেন, বিদ্যালয় মাঠে রাস্তার নির্মাণসামগ্রী রাখার জন্য প্রধান শিক্ষকের লিখিত অনুমতি নেয়া আছে। আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরু হলে ওই সব নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে নেয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছফিউল্লা সরকার বলেন, বিদ্যালয় মাঠে রাস্তার কাজের জন্য নির্মাণসামগ্রী রাখা যাবেনা। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এসেমবলি করতে পারবে না, এটি মোটেই ঠিক হয়নি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *