ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠিতে উঠতি বয়সী ক্যাডারদের সন্ত্রাস বৃদ্ধিতে উদ্বেগ উৎকন্ঠা। বাড়ছে মারামারি আর হাতুরি পিঠান। উঠতি সন্ত্রাসীদের দুই আহত যুবক সাইফুল(২২) ও বাপ্পি(২০) ঝালকাঠি আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। রাজাপুরের মঠবাড়ি ইউনিয়নের মানকি গ্রামে গত ২৮ জুন সকাল টার সময় ঘটে। অপরটি ঝালকাঠি পৌরসভাধীন কৃষ্ণকাঠি এলাকায় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ৪ জুলাই সকাল সাড়ে ১০ টার সময় ঘটে। আহত বাপ্পি হাওলাদার মানকি গ্রামের নান্নু হাওলাদারের ছেলে এবং কৃষ্ণকাঠি এলাকার জামাল হোসেন মিঠু’র ভাড়াটিয়া দিনমজুর আঃ খালেকের ছেলে। লিখিত সূত্রে জানা গেছে, রাজাপুর থানার ডহরশংকর এলাকার মহসিন হাওলাদারের ছেলে আহাদ হাওলাদার(২০), শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে যথাক্রমে রাকিব হাওলাদার(২০) ও রফিক হাওলাদার(২৬) মাদক সেবনের জন্য বাপ্পিদের বসত ঘরের সামনে যায় তখন বাপ্পির পিতা-মাতা বাড়িতে ছিল না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চেয়েছিল সন্ত্রাসী আহাদ বাহিনী। মাদক সেবনে বাপ্পি বারন করলে দেশীয় ধারালো দাও প্রভৃতি সহ বাপ্পিকে হত্যার উদ্দ্যেশে মাথা লক্ষ্য করে কোপ দিলে সেই কোপবাম কাধে লেগে রক্তাক্ত জখম হয়। অন্যান্য সন্ত্রাসীরা তাদের হাতে থাকা চাকু দিয়ে বুকে ও হাটুর উপরে রানে কোপ দেয়। এ ব্যাপারে রাজাপুর থানায় মামলা রুজু হয়েছে তবে সন্ত্রাসীদের কাউকে পুলিশ আটক করতে না পারায় বাপ্পি সহ তার পরিবার রয়েছে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায়। অপরদিকে ঝালকাঠি পৌরসভাধীন কৃষ্ণকাঠি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় উত্তর কিস্তাকাঠি আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা, ব্যাটারি চালিত অটো ড্রাইভার আল আমিন(২৫) তার হাতে থাকা হাতুরি দিয়ে আঘাত করে যাত্রী সাইফুলের মাথা থেতলে রক্তাক্ত জখম করে। তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে সাইফুল সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। খবর পেয়ে এএসআই হালিম মল্লিক হাসপাতালে সাইফুলকে দেখতে যান এবং ঘটনা শুনে তিনিও বিস্মিত হন। হাসপাতালে সাইফুলের মা কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, তার বড় ছেলে উপার্জনক্ষম সাইফুলের উপর হামলাকারী আল-আমিনের কি কোন বিচার হবে না ?