ঝালকাঠী প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠিতে ফার্মেসী মালিকরা এমআরপি( মার্কেট রিটেল প্রাইজ) সিন্ডিকেট করে ক্রেতাদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রির নামে অধিক মুনাফা করছে। বিক্রেতারা কমিশন না দিয়ে নামিদামি কোম্পানীর ছাড়াও অখ্যাত, ভেজাল ও নিন্মমানের ঔষধের গায়ে লেখা মূল্যে কিনতে বাধ্য করছে ক্রেতাদের। এতে করে সাধারন মানুষের ঔষধ ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে। পাশাপাশি রমরামা এমআরপি বানিজ্যে লাভবান হচ্ছে ঔষধ ব্যবসায়ীরা।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি ঝালকাঠি জেলা শাখা গত ২৭ ডিসেম্বর স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে বাজার নির্ধারিত (এমআরপি) মূল্যে সকল ফার্মেসীতে ঔষধ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। যা গত ১ জানয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়। এতে সাধারণ ক্রেতারা বিপাকে পরে। বিশেষ করে যে সকল পরিবারে ডায়াবেটিকস, কিডনি ও হার্ডের রোগী রয়েছে তাদের ঔষধ কিনতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। যেখানে পূর্বে ১০ হাজার টাকার ঔষধ কিনলে প্রায় ৫শত টাকা কমিশন পাওয়া যেত। সেখানে বর্তমানে কোন কমিশন দেয়া হচ্ছে না। এমনকি অখ্যাত কোম্পানীর নিন্মমানের ঔষধ গায়ে লেখা মূল্যে ফার্মেসীগুলো বিক্রি করছে। অথচ এই ধরণের ঔষধে প্রায় ৫০ ভাগ কমিশন থাকে। তাই ক্রেতাদের জিম্মি করে ফার্মেসী মালিকরা এমআরপি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ফয়দা লুটে নিচ্ছে। সম্প্রতি বিভিন্ন ফার্মেসীতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ কিক্রয় করা হয় এই মর্মে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। ঔষধের দাম নিয়ে ক্রেতাদের সাথে উচ্চবাচ্য বাক্য বিনিময় হচ্ছে। সরকার প্যারাসিটামল, হিষ্টাছিন, ডাইক্লোফেনাকসহ ২৫টি ঔষেধের উপর দাম নির্ধারন করে দিয়েছে। কিন্তুু ঝালকাঠি ঔষধ ব্যবসায়ীরা একে পুঁজি করে সব ধরনের ঔষধ বিক্রির ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রির কথা প্রচার করছে। এদিকে ঝালকাঠি কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি একজন আইনজীবী। তার নিজের কোনো ফার্মেসী না থাকলেও সভাপতি থেকে এসব অযৌক্তিক সিদ্বান্ত নিচ্ছেন।এ বিষয়ে ক্রেতা সাদিয়া আক্তার বলেন, এভাবে হঠাৎ করে ঔষধ বিক্রিতে কমিশন বন্ধ করা অন্যায়। এতে করে সাধারন মানুষের অসুবিদা হবে।অন্য এক ক্রেতা শান্তি লাল বলেন, আমাদের পরিবারে প্রতি মাসে দশ হাজার টাকার ঔষধ লাগে। আগে কিছু টাকা ছাড় পেয়ে সাশ্রয়ী হতো। কিন্তুু এ ভাবে এক রেটে ঔষধ বিক্রি করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা করা হচ্ছে।এমআরপি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মেডিসিন ট্রেডার্সের মালিক খালিদ ইমরান বলেন, কোম্পানীগুলো আমাদের লাভ দিচ্ছে শতকরা ১২ ভাগ। এ দিয়ে ক্রেতাদের কিছু ছেড়ে দিলে ব্যবসায় বিভিন্ন খরচ করে টিকে থাকা যায়না।এ বিষয়ে ঝালকাঠি ক্যামিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি মুন্সি আবুল কালাম আযাদ বলেন, বাজারে কোম্পানী নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রি করা আমাদের সমিতির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। তবে কেহ নিন্ম মানের ঔষধ বিক্রি করলে তার দায় সমিতি নিবেনা। তিনি কিভাবে আইনজীবী হয়ে এ সমিতির সভাপতি হলেন জানতে চাইলে জানান, আমার ভাই আযাদ ফার্মেসী নামে একটি ঔষধের দোকান চালায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন