মোঃমনির হোসেন,ঝালকাঠি:
ঝালকাঠিতে পূর্ব শত্রুর জের প্রতিপক্ষ কৃষক ইউনুস আলী খান (৬০)কে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই গ্যাড়াকলে পরেছে স্থানীয় চিহ্নিত মাদকসেবী তথা ব্যবসায়ী কামরুল বাসার মৃধা (৩৪)। ২৩ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকলে সদর উপজেলা গাভারাম চন্দ্রপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে সংগটিত এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী কামরুল বাসার মৃধাকে তাৎক্ষনিক গ্রেফতার করে। পরে কামরুলের স্বাকারোক্তি অনুযায় ডিবি পুলিশ কৃষক ইউনুস আলীরকে ফাঁসাতে তার ঘরের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ী কামরুলের রেখে যাওয়া ২পিচ বন্দুকের গুলি, একটি চারজারসহ ওয়াকিটকি ও ১৭ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই জাকির বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় কামরুল ও ‘র’ অদ্যাক্ষরের পালাতক একজনসহ দুই জনকে আসামী করে অস্ত্র আইনে ও মাদক দ্রব্য আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে। এ মামলার আইও ইন্সপেক্টর খলিলুর রহমান আটক কামরুল বাশারকে আদালতে সোপর্দ করে ৫দিনের রিমান্ডাবেদন জানালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ৩দিনের রিমান্ড মজ্ঞুর করেন।
ডিবিও ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানায়, স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী কামরুল বাসার মৃধা ডিবি পুশিলকে খবর দেয় যে রামচন্দ্র পুর গ্রামের কৃষক ইউনুস আলী খানের বাড়ীতে বিপুল পরিমান ইয়াবার চালান এসেছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির এসআই জাকিরের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান কালে বৃদ্ধ কৃষক ইউনুস আলীকে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। তাৎক্ষনিক ভাবে ডিবি পুলিশ খোজ খবর নেয়ার এক পর্যায়ে তথ্যদাতা কামরুলকে ডেকে ইউনুস আলীর সম্মুখে উপস্থিত করে সামনা-সামনি জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এক পর্যায় মাদক ব্যবসায়ী কামরুল স্বীকার করে যে, কৃষক ইউনুস আলীর সাথে একই এলাকার ‘র’ অদ্যাক্ষরের একব্যক্তির সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিলি। ‘র’ অদ্যাক্ষরের উক্ত ব্যক্তি তাকে মোটা অংকের অর্থ দিলে সে কৃষক ইউনুস আলীকে ফ্যাঁসানোর জন্য তার ঘরের মধ্যে বন্দুকের গুলি, ওয়াকিটকি ও ১৭ পিচ ইয়াবা রেখেছে বলে স্বীকারোক্তি দেয়।
এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশের এসআই জাকির জানায়, এ ঘটনায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী কামরুল বাসার মৃধা ও তার সহযোগী ২জনকে আসামী করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় গ্রেপ্তারকৃত কামরুলকে আদালতে সোপর্দ করে ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে ৩দিতের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *