ঝলকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠি জেলা কাঠালিয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো.আলমগীর হোসেন মুন্সি (৬৫)ও তার পরিবারের সকল সদস্যদেরকে চলমান মামলা তুলে নেওয়ার জন্য পুনরায় হত্যার হুমকি দেয় একই বাড়ীর বিবাদী মো. ইদ্রিশ মুন্সি(৫২) ও তাঁর বাহিনী’রা বলে জানিয়েছেন আলমগীর হোসেনের পরিবার। কাঠালিয়া উপজেলার পশ্চিম আউরা গ্রামের মো.আলমগীর হোসেনের স্ত্রী মোসাম্মত বেগম রানী আলম (৫৫) জানায়, একই বাড়ীর ইদ্রিশ মুন্সির ছেলে বর্তমান ঝালকাঠি জেল হাজতে থাকা মো.ইলিয়াছ মুন্সি(৩০) জামিনে এসে মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেনের পরিবারকে হত্যা করে গোসল করবে বলে হুমকি দেয় হাজতির’র বাবা ইদ্রিশ মুন্সি(৫২)। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, গত ০৪/০৩/২০১৭ ইং তারিখে বিবাদী’রা বাদীর জমি জবর দখলের চেষ্টা চালালে বাদী’রা বাধা দিলে মারামারি ও লুটের ঘটনা ঘটে, সেই ঘটনায় কাঠালিয়া থানায় একটি মামলা রজ্জু হয় মামলা নং০৫,তারিখ০৯.০৩.১৭ইং। আর সেই মারামরি’র ঘটনায় আলমগীর হোসেন মাথায় গুরুতর জখম হয়ে আমুয়া হাসপাতাল,ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল,বরিশাল শোবাচিম ,ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। গুরুতর মাথায় জখম হওয়া মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন এ বৃদ্ধ বয়সে অসুস্থ শরীর নিয়ে জখমে ভারসাম্যহীন বুদ্ধি প্রতিবন্ধি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।আরও জানা যায় মো.ইদ্রিশ মুন্সির ছেলে মো. ইলিয়াস মুন্সি(৩০),মৃত.একরাম আলী মুন্সির ছেলে মো. ইদ্রিশ মুন্সি (৫৫), ইদ্রিশ মুন্সি’র স্ত্রী পুষ্প বেগম(৪৫),আ:লতিফ মুন্সির ছেলে মো.চুন্নি মুন্সি(৫২),ইদ্রিশ মুন্সির ছেলে মো.এমরান মুন্সি(২২) বিগত ঘটনার দিন প্রায় পাচ লক্ষ পচিশ হাজার টাকার স্বর্নালংকারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ও মুক্তিযোদ্ধা অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাকে হত্যা করার মানষে মাথায় গভীর জখম করে,বলে জানায় ইসলামী ফাউন্ডেসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের ছেলে মো.রনি মুন্সি।এ মামলার বাদী কাঠালিয়া উপজেলা সমাজ সেবা উন্নয়নকর্মি মোসাম্মত বেগম রানী আলম (৫৫) জানায় ইলিয়াস মুন্সির বিরুদ্ধে কাঠালিয়া থানায় মাদক ইয়াবাসহ একাধিক মামলা রয়েছে তবে আমি আতংকে অফিস করছি জামিনে আসলে কখন আমাকে জীবনের তরে শেষ করে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *