ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গাজী বাড়ি এলাকায় জরাজীর্ণ বসতঘরে মানবেতর জীবন-যাপন করছে অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধার পরিবার। ভাঙা ঝুপড়ি ঘরে একটু বৃষ্টি হলেই পানির ফোটায় বিছানা ভিজে যায়। ভেজা বিছানায় বৃদ্ধা স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন বৃদ্ধ আমির হোসেন।
জানা গেছে, উপজেলার মৃত আলি আজিম খাঁ এর ছেলে আমির হোসেন(৭৫) তার বৃদ্ধা স্ত্রী সহ পরিবার একটি মোটামুটি ভালো আশ্রয়স্থলের অভাবে বহু বছর ধরে জরাজীর্ণ বসতঘরে মানবেতর জীবন-যাপন করে আসছেন।
বৃদ্ধ আমির হোসেন একজন অসহায় লোক। কোন ভাবে মানুষের সহযোগীতা নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। বসত ভিটা ছাড়া তার নিজের আর কোন জমি নেই। তার ছেলে মেয়ে তারা সবাই যে যার সংসার নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করে। বর্তমানে বৃদ্ধা আমির হোসেনের বসত ঘরখানা খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। বসত ঘরের আংশিক ভাঙা পুরাতন টিন ও পলিথিন দিয়ে ঢাকা। বর্ষার সময় ঘরের ছাউনি থেকে পানি পড়ে বাশঁ, খুটি, বিছানাসহ সব কিছু ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। একটু বন্যা হলেই ঘরটি পরে যাওয়ার আশস্কা রয়েছে।
ঝড় বন্যা হলে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয় বৃদ্ধ আমির হোসেন ও তার বৃদ্ধা স্ত্রীর। এ অবস্থায় বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার খুবই মানবেতর ভাবে জরাজীর্ণ বসতঘরে জীবন-যাপন করছেন।
বৃদ্ধ আমির হোসেন জানান, বর্ষা কালে ঘরে পানি পড়ে বলে সারা রাত ঘরের এক কোনায় জেগে রাত কাটাতে হয় আমাদের। আর এই ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে বেশি করে অসুস্থ করে দিচ্ছে আমাদের। আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় ঠিক মত ঔষুধ কেনা হয় না আমাদের। বর্তমানে ভাঙা ঝুপড়ি নিয়ে বেশ চিন্তিত। কারন রোদ বৃষ্টি কোন মৌসুমেই ঠিক মত থাকতে পারি না। আশ্রয়স্থল যদি ঠিক না থাকে তাহলে দিন রাত পার করা খুব মুসকিল। জীবন-যাপন করার জন্য মোটামুটি ভালো আশ্রয়স্থলের একটি ঘর আমাদের খুব প্রয়োজন।