ঝালকাঠী প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠি সরকারি হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধকের সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে কুকুর, শিয়াল, বিড়ালসহ বিভিন্ন পশুর কামড়ে আহত ব্যক্তিরা বিপাকে পড়েছেন। তাঁরা বাইরে থেকে চড়া দামে প্রতিষেধক কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদা অনুযায়ী হাসপাতালে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক সব সময়ই কম থাকে। গত মাসের পাঠানো প্রতিষেধক শেষ হয়ে গেছে। রবিবার বিকালে ঝালকাঠি জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, কুকুর, বিড়ালের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের টিকা দেওয়ার কক্ষের সামনে রোগীর ভিড়। কিন্তু হাসপাতালে টিকা নেই। অপেক্ষমাণ রোগী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভিড় করা রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগই টিকার দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্ব নেওয়ার জন্য এসেছেন। নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে টিকা দিতে না পারলে আগের পর্বের কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।নলসিটি উপজেলার রানাপাশার গ্রামের হাকিম মিয়া বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া হয় না। তাই তিনি জেলা হাসপাতালে এসেছেন। তাঁর চার পর্বের টিকার প্রথম পর্ব বিনা মূল্যে পেয়েছেন। কিন্তু রবিবার দ্বিতীয় পর্বের টিকার জন্য এলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টিকা নেই বলে জানায়। ১০০ মিলিলিটারের একটি টিকা সর্বোচ্চ চারজন রোগী দিতে পারে। পাগলা কুকুর অন্তত জেলায় ১০০ জনকে কামড়িয়েছে। আহত ব্যক্তিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রতিষেধক নেই বলে জানাচ্ছেন। নিরুপায় হয়ে জেলা সদর হাসপাতালে এলেও সেখানে প্রতিষেধক পাওয়া যাচ্ছে না।ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক কর্মচারি বলেন, জেলায় প্রতি মাসে ৩০০ থেকে ৫০০টি জলাতঙ্ক প্রতিষেধক প্রয়োজন। সেখানে সরবরাহ করা হয় ১০০ থেকে ১৫০টি। তা দু-তিন দিনেই শেষ হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *