সবুজ আহম্মেদ, পীরগঞ্জ ঠাকুরগাও:: ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে সিড়ির নিচে এক বৃদ্ধা শুয়ে আছেন। রাতে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হলে এক ব্যক্তি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। তারপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিঁড়ির নিচে ফাঁকা মেঝেতে তাকে জায়গা দিয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী থেকে আসা মিজানুর রহমান নামে এক রোগীর স্বজন অভিযোগ করলেন অজ্ঞাত রোগীটি মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।
হাসপাতালেরর জরুরি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার রাত ৯.৩০ মিনিটে ওই অজ্ঞাত নামা বৃদ্ধাকে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত অবস্থায় মনির নামে এক ব্যক্তি ভর্তি করে।
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডা: মেহেদী হাসান জানান, ওই অজ্ঞাত বৃদ্ধা দূর্ঘটনায় আহত হয়ে দুই পায়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে প্রাথিমক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

তাৎক্ষনিকভাবে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা: আবু মো: খায়রুল করিবকে অবহিত করা হলে তিনি জানান, ওই মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধা জন্য হাসপাতালের সমাজ সেবা বিভাগ থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমাজ সেবা বিভাগ থেকে গরিব ও অজ্ঞাত রোগীরা তেমন কোনো সেবা পান না। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন বলেন, ‘অসহায় ও অজ্ঞাত রোগীদের অনেকেই সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে সাহায্য-সহযোগিতা না পাওয়ার বিষয়টি আমিও শুনেছি। এমন সব রোগীই যাতে কল্যাণ সমিতি থেকে সেবা পান, সেটি নিশ্চিত করতে আমি কাজ শুরু করেছি। শিগগির এর সুফল পাওয়া যাবে।’
হাসপাতালগুলোতে থাকা সমাজকল্যাণ অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এ সময়ের বাইরে দুস্থ রোগী এলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ওই অফিস থেকে অজ্ঞাত রোগীদের খোঁজ করা তো দূরের কথা, তাদের খোঁজ-খবর নিতে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর হাসপাতালে যাওয়ার নজির নেই।
রোগীদের প্রতি সমাজকল্যাণ অফিসের এমন নানা অবহেলার অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য একে অপরকে দুষছেন চিকিৎসক ও সমাজসেবা কর্মকর্তারা।
সরকারি বরাদ্দ ছাড়াও যাকাত, মানুষের দান-অনুদান থেকে অর্থ পায় রোগী কল্যাণ সমিতি। ওই অর্থ থেকে দুস্থ, অসহায় ও অজ্ঞাত রোগীদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়। বিশেষ করে রোগীর ওষুধ-পথ্য, পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। অথচ অনেক রোগীই এ সহায়তা পান না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *