স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভূরুঙ্গামারীর ডিপেরহাটবাজারে হাটশেড নির্মাণে বাঁধা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ প্রদানের একমাস পেরিয়ে গেলেও উচ্ছেদ না করায় হাটশেড নির্মান বন্ধ থাকায় বাজারটির গতিশীলতা স্থবির হয়ে পড়েছে। জানাগেছে উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের বেলদহ মৌজার ৬০ শতাংশ জমিতে ১৯৮২ সালে ডিপেরহাট বাজারটি প্রতিষ্ঠিত। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে বাজারটির উন্নয়নে ৪টি হাটশেড বরাদ্দ হয়। দুটি হাটশেড নির্মাণ কাজ শুরু হলে অপর হাটশেডের পূর্বপ্রান্তে বেলদহ মৌজার মৃত বাবর আলীর পুত্র গোলজার হোসেন,মৃত আব্দুল হামিদের পুত্র মনজুরুল ইসলাম শামীম এবং মৃত আলেপ উদ্দিনের পুত্র শাহজাহান আলী গোপনে সরকারের অস্থায়ী লীজ দেখিয়ে শর্ত ভঙ্গ করে পাকাঘর স্থাপন করে হাটশেড নির্মানে বাঁধা প্রদান করে। হাটশেড নির্মানে বাঁধা প্রদান করায় ইজারাদার আনিছুর রহমান লেবু কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের নিকট হাটশেডে বাঁধা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে,জেলা প্রশাসক তদন্ত সাপেক্ষে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়। এদিকে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ২৮ মে ইজারাদার,সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সহ তদন্ত করে হাটবাজারটির কার্যক্রম সচল রাখার জন্য তাদের লীজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় হাটশেড নির্মাণে বাঁধা প্রদানকারীদের অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে হাটশেড নির্মানের সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করলে গত ১৯ আগষ্ট হাটশেড নির্মানে বাঁধা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিধিমোতাবেক উচ্ছেদের নির্দেশ প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন। ইজারাদার আনিছুর রহমান লেবু জানান,প্রায় দেড় মাস পূর্বে ডিপেরহাটবাজারে হাটশেড নির্মাণে বাঁধা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদের নিদের্শ দেয়ার পরেও তা কার্যকর না হওয়ায় বাজারটি বর্তমানে বেহাল অবস্থায় থাকায় বাজারে ঠিকমত টোল আদায় সম্ভব না হচ্ছে না। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএইচএম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী জানান,হাটশেড নির্মানে বাঁধা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ পেয়েছি,শীঘ্রই তা কার্যকর করা হবে।