কলমে-চিন্ময় নন্দী
আমি তো এক দিশাহীন,
মেরুদণ্ড বিহীন প্রাণ।
বউয়ের কথায় যে চলি,
মা বাবাকে দি গালি।
মা বাবা মোর নিঃসহায়,
বৃদ্ধ তারা অসহায়।
তাই ইচ্ছে যে মোর প্রাণে,
লিখি তাদের লিখনে।
তাদের বুকভরা বেদনা,
তাদের পুত্র লাঞ্ছনা।
পুত্র দেখেও বোঝেনা,
তাদের ব্যথা যন্ত্রনা।
যে বক্ষে মাথা রেখে,
কাটাল পুত্র শৈশব।
ভুলে গেল তা মোক্ষে,
বৌয়ের কথাতে চলে সব।
নদীর বুকে চলমান,
ছোটো ডিঙি ওই নৌকা।
চলে স্রোতে ভাসমান,
হয়ে আপ্লুত যে একা।
নদী ঘাটে যাত্রী লয়,
অজানা সাথী পায়।
নদী কথা ভুলে যায়,
সুখ সাগরে পাড়ি দেয়।
পুত্র মোহে মায়ের মন,
হয় যে ব্যথায় ব্যাথিত।
বক্ষে উথলে ওঠে প্রাণ,
তাদের দুঃখ হয় অতীত।
নদী বক্ষে জাগে ঢেউ,
আছড়ে পড়ে তরীর পর।
মা বিহনে নাই যে কেউ,
মাতৃস্নেহ দেওয়ার।
সন্তান নাহি বোঝে তা,
শুধু বোঝে বৌ কথা।
বোঝেনা মাতৃ ব্যথা,
বোঝেনা মাতৃ কথা।
ওঠে বুকে আলোড়ন,
ঢেউয়ের মতো আন্দোলন।
তরীর বুকে ঠিক যেমন,
আছড়ে পড়ে ঢেউ মতন।