হুমায়ুন কবির সূর্য, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
তাবলীগ জামাতের উভয় পক্ষের মধ্যে বৈষম্য নিরসন ও চলমান সংকটের স্থায়ী সমাধানের দাবিতে কুড়িগ্রামে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ১৭ জানুয়ারি সকাল দশটায় কুড়িগ্রাম জেলার সচেতন ছাত্র সমাজের আয়োজনে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। সংবাদ সম্মেলনে বিবাদমান পরিস্থিতিতে ইনসাফ ও ন্যায় ভিত্তিক স্থায়ী সমাধানের লক্ষে তিনটি প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। উভয় পক্ষ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারা, কাকরাইল মসজিদ, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান এবং দেশের প্রতিটি মসজিদে তাবলীগের আমলে সমতা নিশ্চিত করা।একে অপরের বিরুদ্ধে কোনো উষ্কানীমূলক বক্তব্য বা কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা এবং ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সমস্ত অনাকঙ্খিত হত্যাকান্ডের বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন না হলে স্থগিতকৃত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ছাত্র সমাজ ও সচেতন নাগরিকদের নিয়ে আরও জোড়লোভাবে পালন করা হবে বলে জানান আয়োজকরা।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের শিক্ষার্থী ইফতে খাইরুল, কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী আমান।
বক্তারা বলেন, তাবলীগ জামাত মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক এবং সারা বিশ্বে ইসলামের দাওয়াহ কার্যক্রমের অন্যতম মাধ্যম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাবলীগ জামাতের অভ্যন্তরীণ বিভেদ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে যার ফলশ্রুতিতে প্রাণহানির মতো দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। যা দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি শৃঙ্খলার জন্য হুমকি স্বরূপ। এই পরিস্থিতি শুধু তাবলীগ জামাতেরই ক্ষতি করছে না বরং বৃহত্তর মুসলিম সমাজের ঐক্য ও সৌহার্দ্যকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাচ্ছে তাবলীগ জামাতের বিবদমান পক্ষদ্বয়ের মধ্যে এক পক্ষ চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। তাই দেশবাসীকে সেই বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরতে এবং এর সমাধানে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহবান জানাতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।