বিশেষ প্রতিনিধি :মোঃখলিলুর রহমান
সংস্কারপন্ত্রী ও সরকারি দল ঘেষা বিএনপি নেতাতের দাপটে ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতারা হতবাক। তালতলী ইউপি নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাসীদের মধ্যে জাতীয় পার্টিথেকে ফিরে আসা নেতাদের নিয়া সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়র রহমানের দৌড়ঝাপে তৃনমুল বিএনপির মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।আওয়ামীলীগের শক্তীশালী প্রার্থীদের ইউপিগুলোতে বিএনপির কোন পরিচিত মুখ প্রার্থী হিসাবে বাছাই না করে তিনি তার মতো জাতীয় পার্টিঘেষা প্রার্থীর তালিকা নিয়া কেন্দ্রের দারস্থ হচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ছোটবগী ইউপিতে তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান তনুর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে সেখানে কোন প্রার্থীর নাম দেননি। অথচ এখানে দির্ঘদিন যাবত তালতলী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফরহাদ হোসেন আক্কাস মৃধা নির্বাচন করেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি লড়াই করেন আওয়ামীলীগের শক্তিশালী প্রার্থীর বিরুদ্ধে । এ ইউনিয়নে তার স্ত্রী শেফালী বেগম এর নাম বিএনপির প্রস্তাবনায় থাকলে বিপুল ব্যাবধানে বিজয়ের আসা ব্যাক্ত করেন নেতারা। তালতলী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হওয়ার পর থেকে পচ্ছন্দের প্রার্থীদের মনোনয়ন পাইয়ে দিতে কেন্দে দৌড়ঝাঁপ করছেন বিএনপির বিভিন্ন গ্রুপের নেতাকর্মীরা। উপজেলা ও জেলা বিএনপির বর্তমান ও এক্টিভ নেতাদের পাশ কাটিয়ে দলীয় মনোনয়ন পাইয়ে দেয়ার পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে দলটির সংস্কারপন্থী হিসেবে খ্যাত এক সাবেক নেতার বিরুদ্ধে । দেড় বছর আগে যে কমিটিকে কেন্দ্র বিলুপ্ত ঘোষনা করে সেই কমিটির লোকদের সামনের সাড়িতে আনার চেষ্টা করছেন ঐ সাবেক বিএনপি নেতা। তালতলীর বর্তমান কমিটির নেতাকর্মী ও বরগুনা জেলা বিএনপির রেজুলেশন প্রাপ্ত মনোনয়নকৃত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের উপেক্ষা করে বরগুনা ২ আসনের সাবেক সংসদ মতিউর রহমান তালুকদার, বিএনপির মহাসচিব ও হাইকমান্ডদের ব্লাকম্যাইল করে ও ভুল বুঝিয়ে মনোনায়ন নেবার জন্য দৌড়াচ্ছেন পল্টন টু গুলশান অফিস। কড়া নাড়ছেন দলীয় হাইকমান্ডের দরজায় দরজায়। এদিকে, তালতলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এর তফসিল ঘোষনা হলে,উপজেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক আক্কাস আলী মৃধা ও ১যুগ্ম আহবায়ক মামুন আলম এর নেতৃত্বে বরগুনা জেলা বিএনপির সভাপতি জনাব মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা, সাধারন সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলাম ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে তালতলীর তৃনমূল নেতা কর্মীদের নিয়ে গেলে তারা সবার সম্মতি ক্রমে রেজুলেশনের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করে দেন। তবে, সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির সাথে দীর্ঘ দিন যোগাযোগবিচ্ছিন্ন কয়েকজন সুবিধাবাদী নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকা আসেন। যোগাযোগ করেন বিএনপির হাই কমান্ডের সাথে। সেখানে মতিয়ার রহমান, দেড় বছর আগে বিলুপ্ত কমিটিকে বর্তমান কমিটি হিসেবে দাবী করেন। এবং তার লিস্ট দেওয়া প্রার্থী দের ছাড়া অন্য কোন প্রার্থী নাই বলে, হাইকমান্ডকে ভুল বুঝান।
এপ্রসংগে বরগুনা জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এস.এম. নজরুল ইসলাম বলেন, “বরগুনা ২ আসনের সাবেক সংসদ যাকে বিগত কোন সরকার বিরোধী আন্দোলনে কোথাও কোন প্রোগ্রামে দেখা যায় নাই। তার নামে কোন মামলা নাই। সরকারী দলের সাথে আতাত করে বিএনপির বাইরের আওয়ামীপন্থী লোকজন দের নিয়ে প্রার্থী তালিকা দিয়ে মনোনয়ন নেবার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।” খোজ নিয়া দেখা যায়, যাদের মনোনায়নের জন্য মতিউর রহমান চেস্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন তারা কিছুদিন জাতীয় পার্টি থেকে মনোনায়ন নেবার জন্য দলে যোগ দিয়েছিল সাবেক সাংসদের কথার উপরে ভিত্তি করে। এ বিষয়ে বরগুনা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহাবুবুল আলম ফারুক মোল্লা জানান, “জনাব মতিউর রহমান সাহেব বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ঢাকায় অবস্থান করেন। দলের কোন কার্যক্রমে তিনি জড়িত নাই। ফোন করেও তাকে পাওয়া যায় না। সরকার বিরোধী কোন আন্দোলনে বা মামলায় তার নাম নাই। তিনি জেলা বিএনপি বা স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ না করে, সদ্য জাতীয় পার্টি থেকে আসা ও দেড় বছর আগের বিলুপ্ত কমিটি কে নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের দারস্থ হচ্ছেন। যা পুরোপুরি অবৈধ। তালতলীর ছোট বগী ইউনিয়নের কোন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর নাম মতিয়র রহমান উপস্থাপন করেনি, কারন ওখানকার বর্তমান চেয়ারমান তনু, উপজেলা চেয়ারমান মিন্টুর আপন ভাই। মিন্টু ও তনুর সাথে যোগসাজশে মতিয়ার রহমান ওই স্থানটা খালি রেখেছেন। এমন মন্তব্য বরগুনা জেলা বিএনপির। তারা আরও জানান, সংস্কারপন্থী মতিউরের এমন দুরাভিসন্ধি সফল হলে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।