এস, কে সাহেদ,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে চর এলাকা ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বাড়তে থাকে। শনিবার সকাল ৬টায় তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরে পানি প্রবাহ কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচে রেকর্ড করা হয়। তবে এই মহুর্তে তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে তিস্তা ও ধরলা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়ি ঘরে পানি পানি প্রবেশ করেছে। ডুবে গেছে রাস্তা ঘাট।পানিতে তলিয়ে গেছে বাদাম , আমন বীজতলা ও সবজি খেত। লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী,দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ,
সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতিসহ পাশ্ববর্তী রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা তীরবর্তি এলাকা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ভাঙ্গণ প্রবন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, আবারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ঈদের আগে জেলার বন্যা কবলিত ইউনিয়নগুলেতে ৩’শ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে। খোজখবর রাখছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *