মোঃ মনির হোসেন ঝালকাঠি প্রতিনিধি: দক্ষিণ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ঝালকাঠিতে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঝালকাঠি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি নানা সমস্যায় জর্জরিত। এক সময় এই বিদ্যালয় আটশত থেকে নয়শত ছাত্র লেখাপড়া করতো। দুটি স্বিফট চালুর পর থেকেএই বিদ্যালয় প্রায় দুই হাজার ছাত্র লেখাপড়া করে। শিক্ষক সংকট শিক্ষক সংখ্যা প্রায় চল্লিশের কাছাকাছি। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট, এমএলএসএস সংকট এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে চলছে পাঠদান। স্কুলের লেখাপড়ার মান নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। সচেতন মহলের দাবি আগের সেই স্কুলে লেখাপড়া এখন আর নেই, শিক্ষাকরা থাকে কোচিং বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত। শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখে না। স্কুলের ডিসিপ্লিন এখন আর নেই, ছাত্ররা স্কুলে মারামারি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। প্রায়ই দেখা যায় স্কুলে পুলিশ আসে। সচেতন মহল মনে করেন যদি এই স্কুলে একজন প্রধান শিক্ষক থাকতো তাহলে স্কুলে লেখাপড়া ঠিকমতো হত। স্কুলের ভবনের অবস্থা এতটাই নাজুক প্রতিটি রুম থেকে ছাদ ধ্বসে পড়েছে। বর্ষাকালে প্রতিটি রুমের ছাদ থেকে পানি পড়ে। শিশুদের লেখাপড়া বেড়াত ঘটে। প্লাস্টার ধসে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ঝালকাঠি সচেতন মহল মনে করেন। যেকোনো সময় এই স্কুলটি ধসে পড়তে পারে। জরুরী ভিত্তিতে যদি নতুন ভবন তৈরি করা না হয় ঝালকাঠিতে একসময় স্কুলটি মৃত্যুকূপে পরিণত হবে। আমাদের সন্তানদের বাঁচাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঝালকাঠি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবনটি পূর্ণ নির্মাণ করা হোক । একাধিক অভিভাবক জানান,স্কুলের শিশুরা ঢুকলে আমরা চিন্তায় থাকি কখন ভবনটি ধসে পড়ে। একাধিক অভিভাবক জানান দুই বছর আগে শুনেছি যে একনেকে পাস হয়েছে ভবনটি দশতলা হবে , এখন পর্যন্ত কোন কার্যক্রম দেখছিনা। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো আমাদের শিশুদের জীবন রক্ষার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভবনটি পুনর্নির্মাণ করা হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *