ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
দক্ষিন বঙ্গের বরিশাল-ঝালকাঠিসহ পিরোজপুরের মটবাড়ীয়া,বরগুনার পাথরঘাটা, বাগেরহাট,খুলনা গামী বাসযাত্রী’রা চড়ম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে, যেন দেখার কেউ নেই। ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির, বরিশাল-কুয়াকাটা রুটে প্রবেশের দাবিতে সৃষ্টি সহিংসতায় নলছিঠি উপজেলার রায়াপুর স্কুলের সামনে বরিশাল- পিরোজপুর আঞ্চলিক মহসড়কের উপর অস্থায়ী বাসটার্মিনাল বসিয়ে যাত্রী বন্ঠন করার কারনে, বরিশাল থেকে দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চলের যাত্রীদের চড়ম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গুনতে দিগুণ ভাড়া, বিশ মিনিটের পথে যেতে সময় লাগছে প্রায় ১ ঘন্টা, বরিশাল থেকে দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলে যাত্রীদের রুপাতলি বাসষ্ট্যান্ড থেকে টেম্পু যোগে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে পৌছাতে হচ্ছে রায়াপুরের অস্থায়ী বাসটার্মিনালে, যার ফলে যাত্রী’রা হয়রানীর শিকার হচ্ছে। বাগেরহাট গামী যাত্রী জনৈক বিকাশ সাহা জানান, সরকারে কিছু করা উচিত, আমাদের এই জনদুর্ভোগের লাগবের কোন কি পথ নেই। দেশে কি কোন আইন নেই এভাবে চলতে পারে না,আমরা বাস মালিক সমিতি’র কাছে কতদিন আর জিম্মি থাকব। দুর্ভোগের কথা বলতে বলতে অপর ষার্টোধ যাত্রী জানান,প্রধান মন্ত্রী’র হস্তক্ষেপ কামনা করছি, এভাবে চলতে পারে না, জানা যায়, বরিশাল-কুয়াকাটা রুটে ঝালকাঠি জেলাধীন ৮ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। আর সেই কারনে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি বরিশাল-কুয়াকাট রুটে প্রবেশ করতে চায়,কিন্তু বরিশাল বাস মালিক সমিতি এ দাবিকে অগ্রাহ্য করার কারনে, এ জনদুর্ভোগ। অপরদিকে বরিশাল মালিক সমিতি’ সাধারন সম্পাদক জানান, আমরা যাত্রী বুকিং দিয়ে ঝালকাঠি বাস পাঠালে রাযাপুর থেকে যাত্রী নামিয়ে দেয়া হচ্ছে, বাস বরিশাল ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির লাইন সম্পাদক মো. জাহাঙ্গির হোসেন শামিম জানান, আমাদের কুয়াকাটা রুটে প্রবেশাধীকা না দিলে, আমাদের আন্দোলন আরও বেগবান করবো। তিনি আরও জানান, দাবি না মানলে আমরা ঝালকাঠি জেলার শেষ সিমানায় কালিজিরা এলাকায় নিজস্ব অর্থায়নে বাসটার্মিনা স্থাপন করে, যাত্রী পরিবহন করবো।