রাণীশংকৈল ( ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের পরিচালক মো: মোনায়েম হোসেন নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর এক শিক্ষাথর্ীর জীবন নষ্ট হতে বসেছে কোনো কারণ ছাড়াই স্কুল কর্তৃপক্ষ লাবিবের অভিভাবককে ডেকে পাঠান। সেই অভিভাবক কালক্ষেপণ না করে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল থেকে প্রায় ৮০ কি.মি পথ পাড়ি দিয়ে সেই স্কুলে ছুটে যান। ওই অভিভাবক স্কুলে পেঁৗছা মাত্রই স্কুলের পরিচালক বিনা কারণ ছাড়াই মেধাবী ছাত্র আল মোর্তুজা লাবীবকে তার পিতা মুক্তারুল ইসলামের হাতে তুলে দিয়ে বাড়ি নিয়ে আসতে বলেন। উপস্থিত অসহায় পিতা এর কারণ জানতে চাইলে স্কুলের পরিচালক মোনায়েম অভিভাবককে সঠিক কারণ না বলে ভয় ভীতি দেখিয়ে তালবাহনা শুরু করে। এক পর্যায়ে পরিচালক বলেন ওই স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রের সাথে আল মোর্তুজা লাবীবের কোনো কারনে বাকবিকন্ডা হয়। এই সামান্য কারণে দুই পক্ষের উপস্থিতি ছাড়াই ভূক্তভোগী ছাত্রের অভিভাবকে পরিচালকের অফিসের ভিতরেই লাঞ্চিত করা হয়। অসহায় পিতা পরিচালকের অফিস থেকে বেরিয়ে উক্ত স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের কাছে ঘটনার কারন খুজে পান। ছাত্র/ছাত্রীদের মাধ্যমে ঘটনার বিবরণ জানা যায়, দশম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র ওই নবম শ্রেণির আল মোর্তুজা লাবীবকে প্রতিনিয়ত কটুক্তি ভাষায় উত্তপ্ত করত। এক পর্যায়ে লাবিব তাদের কটুক্তি সহ্য করতে না পেরে উক্ত বখাটে শিক্ষাথর্ীদের প্রতি মন খারাপ করে। এক পর্যায়ে লাবিবকে মারার জন্য চারতলা থেকে নিচে নামিয়ে নিয়ে এসে টয়লেটে তালাবন্দি করে। তার চিৎকারে লাবিবের হোষ্টেলের কয়েকজন বন্ধু তাকে উদ্ধার করে। বখাটেরা এমনিভাবে তিন দিন এমন ঘটনা ঘটায়। বখাটেদের বিচার না করে লাবিবকে স্কুল থেকে বের করে দেয় ওই স্কুলের পরিচালক মোনায়েম হোসেন। এ ব্যাপারে রাণীশংকৈলা উপজেলা শাখার স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কানন একজন স্থানীয় নেতাসহ মোহনা টেলিভিশন প্রতিনিধি মো: ফারুক আহাম্মদ সরকার স্কুলের পরিচালকের কাছে গেলে বিষয়টির সঠিক বিচার না পেয়ে পরিচালকের একতরফা কথা বার্তায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবক পক্ষ হতাশ হন। এক পর্যায়ে বাংলাদেশের দুই দুইবারের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীট এর শিক্ষিকা লাবিবের মা পরিচালকের একতরফা কথা শুলো শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং লাবিবকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। উক্ত স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূল সিদ্ধান্তের কারনে শিক্ষাথর্ীর জীবনের দুইটি বছর নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে। এমন সন্ধিক্ষণে কি হবে, কি করবে ভেবে না পেয়ে মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন শিক্ষার্থীসহ অভিভাবক।
এছাড়াও স্কুলে শিক্ষাথর্ীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন ১০৫০ টাকা, ভর্তি ফি ৩০০০, উন্নয়নমূলক ৩০০০, শেষন ৪৭০ বোর্ডিং ফি ৬৫০০, খাতা ৪০০, গাইড বুক ১০০০, বিলডিং ফি ৪৭০০ টাকা বাধ্যতামূলকভাবে আদায় করে। অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ছেলে ভাল পড়ালেখা শিখে অনেক জ্ঞান অর্জন করবে এমন আশায় সব কিছু নিস্ব হয়ে হলেও ছেলেকে ভাল প্রতিষ্ঠানে পড়াতে হবে ভাবনায় টাকার দিকে না দেখে ছেলেদের ওই সব স্কুলে ভর্তি করায়। ফলে শিক্ষা অর্জনের চেয়ে হয়রাণী ও ব্যাপকভাবে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *