ফারহানা আক্তার, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
দুই মামলায় জয়পুরহাট আদালতের ৪ কর্মচারী কারাগারে
গেটে তালা ও সরকারি ফাইল চুরির ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় জয়পুরহাট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চার কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে তাদের গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌফিকুল ইসলাম আগামী ৩১ অক্টোবর রিমান্ডের শুনানির দিন ধার্য করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেফতাররা হলেন- জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির জহুরুল ইসলাম (৪৩), চালক মো. রাসেল (৩০), ক্যাশ সরকার মো. কামরুজ্জামান (৪৩) এবং প্রসেস সার্ভার জাহাঙ্গীর আলম (৩৯)।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কর্মচারীরা প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে অন্যদের পথরোধ করে এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়। সেখানেই তালা ঝুলানো নিয়ে একটি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
এছাড়া গ্রেফতাররা পরস্পর যোগসাজশে অফিস কক্ষ থেকে সরকারি ২০টি বিভিন্ন ফাইল চুরি করেন। এসব ফাইল উদ্ধার হয়নি। এসব অভিযোগ তুলে আদালতের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা কৃষ্ণ কুমার সরকার বাদী হয়ে ৩ জুন ও ৯ জুন জয়পুরহাট থানায় পাঁচজনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেন।
মঙ্গলবার ওই মামলার চারজন আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ মামলার আরেক আসামি বগুড়া জেলা সদরের সবুজ বাগ এলাকার হাফিজ মাস্টারের ছেলে সামসুল আরেফিন পলাতক আছেন।জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হাবিবুর রহমান হাবিব জাগো নিউজকে বলেন, পৃথক দুটি মামলার চার আসামিকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়েছিল এবং পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌফিকুল ইসলাম আগামী ৩১ অক্টোবর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন এবং আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জয়পুরহাট জেলা দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল জাগো নিউজকে বলেন, অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মামলা হলে এজাহারভুক্ত আসামিরা দীর্ঘদিন পলাতক থাকে। তাদের চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে। আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট পরবর্তীতে রিমান্ডের শুনানি হবে মর্মে আসামিদের কারাগারে পাঠান