নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার নন্দীগ্রামে নিজের মরিচ ক্ষেতের পাহারা দেয়ার টং ঘরে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন কৃষক সাহেব আলী (৪২)। পরেরদিন সকালে তার লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের পোতা গ্রামের রোডের পাশের মাঠ থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। কৃষক সাহেব আলী বীরপলি গ্রামের মৃত রবির উদ্দিনের ছেলে।
ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ ও স্থানীয়রা জানান, গত রোববার রাতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে গ্রামের জনৈক মকবুল হোসেনের উঠানে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন কৃষক সাহেব আলী। রাত ১২টার দিকে বীরপলি বাজারেও তাকে দেখা গেছে। পোতা গ্রামের রোডের পাশের মাঠে এবারই প্রথম মরিচের চাষ করেছেন। তিনি সেই জমিতে পাহারা দেয়ার টং ঘরে গিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে গ্রামের লোকজন টং ঘরে কৃষকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। সুত্র জানায়, সম্প্রতি মরিচ ক্ষেতের টং ঘর থেকে ওই কৃষকের ছেলে শাকিলের মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় গ্রামে একটি সালিশ হয়। সেই সালিশে জনপ্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে কিনা! বীরপলি বাজারে স্থানীয়দের মধ্যে এমন প্রশ্ন এবং আলোচনা চলছে।
নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত্ম) মো. খায়রম্নল ইসলাম বলেন, কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত্মের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় ইউডি মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে।