ঝালকাঠি প্রতিনিধি :
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার আনিস বিশ্বাস রুম্মান নামে এক যুবককে পূর্বশত্রুতার জের ধরে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় ২২ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৪ ডিসেম্বর সোমবার রাত ৯ দিকে নলছিটি থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৩,তারিখ ৪ জানুয়ারি।
উল্লেখ্য গতকাল ৩ জানুয়ারি রবিবার দপদপিয়ার বিশ্বাস বাড়ীর সম্মুখে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত আনিস বিশ্বাস রুম্মান দপদপিয়ার আব্দুল ছত্তার বিশ্বাসের একমাত্র পুত্র।
রুম্মানের চাচাতো ভাই আজিজ বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান ,ঘটনার দিন বিকালে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সাথে আমার ছেলে আকিব বিশ্বাসের কথাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এতে আমার ছেলে মাথায় আঘাত পেলে তাকে আমার ডাক্তার দেখানোর জন্য বরিশালে পাঠিয়ে দেই।
এরপর সন্ধ্যার দিকে আমার চাচাতো ভাই রুম্মান টোল ঘরে ডিউটি করার জন্য বাড়ি থেকে রওনা দেয়। আমিও তার সাথে আমাদের বাড়ির সামনে বের হই। এ সময় হঠাৎ করে আমাদের সামনে কয়েকটি মটরসাইকেল এসে থামে। আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা রামদা দিয়ে আনিসকে কোপ দেয়। আনিস বসে পড়লে কোপটি তার গায়ে না লেগে পাশের একটি সুপারি গাছে লাগে। আমি দৌড় দেওয়ার সময় আনিসকে টেনে আনতে চাইলেও তাকে নিয়ে আসতে পারিনি।
সন্ত্রাসীরা বাহিনী তাকে ধরে ফেলে এবং একের পর এক কোপ দিতে থাকে। এ সময় তার গলায় একটি রামদার কোপ লাগলে সে চিৎকার দিয়ে বাড়ি ভিতরে যাওয়ার জন্য দৌড় দেয় কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরেই সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। আমাদের বাড়ির লোকজন বের হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। কাউকে চিনতে পেরেছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আল মামুন,রানা,জিহাদসহ আরও বেশ কয়েকজন ছিলো।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন ও নলছিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহম্মদ সাখাওয়াত হোসেন এ সময় সাথে ছিলেন নলছিটি ইন্সপেক্টর তদন্ত আবদুল হালিম তালুকদার। নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানান রুম্মান হত্যায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ হত্যা কান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা অব্যহত আছে।
নিহত আনিস বিশ্বাস রুম্মান’র লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এবং ৪ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে খুনীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে দপদপিয়ার জিরো পয়েন্টে এলাকায় তার লাশসহ একটি মানববন্ধন করা হয়েছে।