নাগশ্বরী প্রতিনিধি #
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় সাপখাওয়া উচ বিদ্যালয়ের এমপিও শীটে একজন শিক্ষকের নামে দুটি ইনডেক্স। উভয় ইনডেক্সই বেতন উত্তোলন করার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। জানা যায়, উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুলতান মাহমুদের নাম ২টি ইনডেক্স মুদ্রিত হয়। যার ইনডেক্স নং- ১০৬৯৮০০ ও ১০৭২৬৩৯। উক্ত বিদ্যালয়র প্রধান শিক্ষক আব্দুল গনি সরকার বিষয়টি গোপন রেখে সোনালী ব্যাংক, নাগেশ্বরী শাখার সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজার ও ম্যানেজারর সঙ্গে যোগসাজস করে সুদীর্ঘ প্রায় ৮ বছর যাবত উক্ত ভুল ইনডেক্সের টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাত করে আসছেন। এছাড়া উক্ত ভুয়া শিক্ষকের নামে উক্ত ব্যাংক থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ভাগ্য ঋণ উত্তোলন করা হয়েছে বলে এ তথ্য জানা যায় । ম্যানেজার রতন কুমার রায় বলেন এম,পি,ও শীটে নাম থাকলে আমরা সেটা আটকাতে পারি না। ভাগ্য ঋণ কিভাবে দিলেন এ প্রশ্নের জবাবে উক্ত ম্যানেজার বলেন ঐ নামে একজন লোক এসে টাকা তুলে নিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত ৭লক্ষ ৬৬হাজার ২শত চল্লিশ টাকা আত্মসাত করছে বলে অভিযাগ উঠেছে।এ ব্যাপারে অত্র এলাকাবাসী মোঃ সফিকুল ইসলাম উপজলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর অভিযাগ দাখিল করলে উপজলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি তদন্ত করার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকক তদন্ত কাজে সহযোগীতার জন্য সহকারী শিক্ষক সুলতান মাহমুদকে নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য জানানো হলেও তদন্তে অনুপস্থিত থেকে অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয় উক্ত প্রধান শিক্ষক ভুঁয়া শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে রাতারাতি কালো টাকার পাহাড় গড়ছে বলে ব্যাপক অভিযাগ রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়াও নাগেশ্বরী সোনালী ব্যাংকে টাকার বিনিময় গ্রাহকদর চেক বিতরণের অভিযাগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয় ব্যাংক হিসাবধারীরা বিভিন্ন ব্যাংকে ও এনজিওতে চেক বই রেখে ঋণ গ্রহণ করে। পরবর্তীতে নিজের প্রয়োজনে ব্যাংকের চেক বিতরণকারীর সাথে আঁতাত করে টাকার বিনিময়ে নতুন চেকবই তুলে নিয়ে ঋণদাতা সংস্থাকেও ধোকা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন