কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ৩নং বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারী বরাদ্দের টাকা ও ত্রানের টিন আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের ৫ জন ইউপি সদস্য। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যরা হলেন, মোঃ আব্দুল খালেক, খতিবর রহমান, জয়নাল আবেদীন, নজরুল ইসলাম, আবুল কাশেম।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত ৬ মাসে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের অবকাঠামো উন্নয়ন ও অসহায় দুঃস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত বিভিন্ন প্রকল্প ও রিলিফের প্রায় ১৭ লাখ টাকা ও ১৩ বান্ডেল ঢেউ টিন কাগজে কলমে বিতরন দেখিয়ে সমুদয় টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেছেন। ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক, খতিবর রহমানসহ অন্যান্য ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন ইউনিয়নের জন্য ভিজিএফের বরাদ্দ ৪৫টন চাউলের মধ্যে মাত্র ৩ টন চাল বিতরন করে বাকী ৪২টন চাউল ভুয়া নামে বিতরন দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও ত্রানের চাউল ও বরাদ্দকৃত ৩ লাখ টাকা, কৃষি পুর্ণবাসনের ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, অবকাঠামো উন্নয়নের বরাদ্দকৃত ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ও জিআর বরাদ্দ ৯০ হাজার টাকার কোন কাজ না করেই আত্মসাৎ করেছেন। ৪০ দিনের কর্মসূচীতে ২শ ১৯ জন লেবার বরাদ্দ থাকলেও ইউপি সদস্যদের কিছু না জানিয়েই ২৫জন লেবার কম খাটিয়ে তাদের হাজিরার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
ফলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ৫ জননির্বাচিত ইউপি সদস্য দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে সরেজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন । অভিযোগের ভিত্তিতে আগামী ১০ জানুয়ারি শুনানীর জন্য উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শঙ্কর কুমার বিশ্বাস।
বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের লুছনী গ্রামের মোঃ আব্দুস ছামাদ, আতাউর রহমান ও মমিনা বেগম অভিযোগ করেন, তাদের কাছে টিন ও প্রতি বান্ডেল টিনের সাথে বরাদ্দকৃত ৩ হাজার করে টাকা দেয়ার কথা বলে ২ হাজার টাকা করে নিয়েছে চেয়ারম্যান। শুধু টিন পেয়েছে কিন্তু কোন টাকা পাননি তারা।
এদিকে ইউনিয়নের মিয়াপাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুল কাদের জানান, তালিকায় নাম থাকা সত্বেও ঢেউ টিন ও টাকা কিছুই পাননি তিনি।
এছাড়াও ৩নং ওয়ার্ডের মোঃ শাহানুর ইসলামসহ অনেকের কাছ থেকে সোলার দেয়ার কথা বলে ৩ হাজার করে টাকা নিলেও তাদেরকে সোলার দেয়া হয়নি।
জানতে চাইলে বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা। তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কি করবে ? বরং তারা আমার বিরুদ্ধে বেশি লাগলে তাদের কিছুই দিবো না ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন