নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় এবার আশানারুপ পাট চাষ হয়নি। পাট চাষের মৌসুমে বৈরি আবহাওয়া ও অতি বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়েছে অনেক চাষের খেত। ফলে গতবারের চেয়ে প্রায় ১০০ হেক্টর জমি কমেছে পাট চাষে। উপজেলা কৃষি দপ্তর জানায়, এবার পাট চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ২হাজার ২৫০ হেক্টর জমি। অর্জিত হয়েছে ২হাজার ১৫৫ হেক্টর জমি। গতবারের চেয়ে এবার পাট চাষের জমি কমেছে প্রায় ১০০ হেক্টর। অপরদিকে খেতে টিকে যাওয়া পাট গাছগুলো বৃষ্টির কারণে সঠিক বৃদ্ধি হয়নি। ফলে উৎপাদন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন কৃষক।

উপজেলার পাট চাষিরা জানান, এবার পাট চাষের সময় ঝড় বৃষ্টি থাকায় অনেক পাট খেত নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট হওয়া খেতে নতুন কওে আর পাট বীজ বপন সম্ভব হয়নি। অনেক চাষি দুইবার বীজ বপন করেছেন। ফলে বাড়তি টাকা খরচ হয়েছে তাদের।

কেদার ইউনিয়নের বাহের কেদার গ্রামের চাষি আব্দুল গণী জানান, প্রথমবার খেতে পাটবীজ বপণ করার পর বৃষ্টিতে সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তিতে আবার বীজ বপণ করেছি। এসব পাট গাছ ভালো হয়নি। উৎপাদন খরচ উঠবে কিনা সেটা নিয়ে চিন্তায় আছি। সাহেবের খাষ এলাকার চাষি আব্দুল সোবাহান বলেন, এবার তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন তিনি। প্রতি বিঘা পাট চাষে এপর্যন্ত ১১হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। এরপর কাটা-মাড়াই আছে। আবহাওয়ার কারণে পাটের বৃদ্ধি ভালো হয় নাই। দাম ভালো না পেলে লোকসান গুনতে হবে। একই কথা বলেন, পাট চাষি আমজাদ হোসেন, খোকন মিয়া।

নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, অতি বৃষ্টির কারণে এবার অনেক পাট খেত নষ্ট হয়ে গেছে। পরবর্তিতে ওইসব জমিতে কৃষক অন্য ফসল চাষ করেছেন। ফলে পাট চাষে লক্ষমাত্রা অর্জিত হয় নাই। তিনি আরোও জানান, গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ১০০ হেক্টর কম জমিতে পাট চাষ হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *