নাগেশ্বরী থেকে মোঃ মসলেম উদ্দিন#
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। দুই সপ্তাহে ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে দেড় শতাধিক পরিবার। হুমকিরমুখে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, কমিউনিটি ক্লিনিক, প্রাথমিক বিদ্যালয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার নুনখাওয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদে পানি কমে তীব্র স্রোত আঘাত হানছে কিনারায়। তীরবর্তী এলাকায় প্রতিদিন নতুন করে ফাটল দেখা দিয়ে মুহূর্তেই ধসে যাচ্ছে। তীরবর্তী প্রায় এক কিলোমিটারব্যাপী গ্রামগুলোর মানুষ গাছ কেটে ঘরবাড়ি সরিয়ে ফেলার আগেই তা গিলে খাচ্ছে আগ্রাসী ব্রহ্মপুত্র। গত দুই সপ্তাহে এ নদের ভাঙনে বিলীন হয়েছে বোয়ালমারী, মাঝিপাড়া ও ব্যাপারীরচর গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক বাড়ি। ভেঙেছে আবাদী জমি, ফলজ, বনজ বৃক্ষ ও ওয়াক্তি ঘর। অব্যাহত ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে নুনখাওয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, কমিউনিটি ক্লিনিক, বোয়ালমারী ও ব্যাপারীরচর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এভাবে ভাঙতে থাকলে নদ থেকে মাত্র ১০-৫০ গজ দূরে অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠান তিনটি চলে যাবে নদের গর্ভে।

ভাঙনে নিঃস্ব বোয়ালমারী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, নুর ইসলাম, সমসের আলী, সাইফুল ইসলাম, ফরিদুল ইসলাম, জব্বার আলী বলেন, দেখতে দেখতে সব গিলে খেল ব্রহ্মপুত্র। নিঃস্ব হয়ে গেলাম আমরা। কোথায় আশ্রয় নেব জানি না। কোনোমতে ঘরের চালা ভেঙে সরাতে পারলেও চোখের সামনেই গাছপালাসহ সবই ভেসে গেল। রক্ষা করতে পারিনি কিছুই। জমিও আর থাকল না। সবকিছু হারিয়ে এখন আমরা কি করব ভেবে পাচ্ছি না। নুনখাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাহাবুল বলেন, নদের ভাঙনে নিঃস্ব এ সব মানুষের মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকুও থাকল না। এদের জরুরি সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি। ভাঙনের মুখে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠান তিনটির পাকা স্থাপনা দ্রুত ভেঙে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শঙ্কর কুমার বিশ্বাস বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

নাগেশ্বরীতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। দুই সপ্তাহে ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে দেড় শতাধিক পরিবার। হুমকিরমুখে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, কমিউনিটি ক্লিনিক, প্রাথমিক বিদ্যালয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার নুনখাওয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদে পানি কমে তীব্র স্রোত আঘাত হানছে কিনারায়। তীরবর্তী এলাকায় প্রতিদিন নতুন করে ফাটল দেখা দিয়ে মুহূর্তেই ধসে যাচ্ছে। তীরবর্তী প্রায় এক কিলোমিটারব্যাপী গ্রামগুলোর মানুষ গাছ কেটে ঘরবাড়ি সরিয়ে ফেলার আগেই তা গিলে খাচ্ছে আগ্রাসী ব্রহ্মপুত্র। গত দুই সপ্তাহে এ নদের ভাঙনে বিলীন হয়েছে বোয়ালমারী, মাঝিপাড়া ও ব্যাপারীরচর গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক বাড়ি। ভেঙেছে আবাদী জমি, ফলজ, বনজ বৃক্ষ ও ওয়াক্তি ঘর। অব্যাহত ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে নুনখাওয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, কমিউনিটি ক্লিনিক, বোয়ালমারী ও ব্যাপারীরচর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এভাবে ভাঙতে থাকলে নদ থেকে মাত্র ১০-৫০ গজ দূরে অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠান তিনটি চলে যাবে নদের গর্ভে। ভাঙনে নিঃস্ব বোয়ালমারী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, নুর ইসলাম, সমসের আলী, সাইফুল ইসলাম, ফরিদুল ইসলাম, জব্বার আলী বলেন, দেখতে দেখতে সব গিলে খেল ব্রহ্মপুত্র। নিঃস্ব হয়ে গেলাম আমরা। কোথায় আশ্রয় নেব জানি না। কোনোমতে ঘরের চালা ভেঙে সরাতে পারলেও চোখের সামনেই গাছপালাসহ সবই ভেসে গেল। রক্ষা করতে পারিনি কিছুই। জমিও আর থাকল না। সবকিছু হারিয়ে এখন আমরা কি করব ভেবে পাচ্ছি না। নুনখাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাহাবুল বলেন, নদের ভাঙনে নিঃস্ব এ সব মানুষের মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকুও থাকল না। এদের জরুরি সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি। ভাঙনের মুখে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠান তিনটির পাকা স্থাপনা দ্রুত ভেঙে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শঙ্কর কুমার বিশ্বাস বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *