মোঃ মসলেম উদ্দিন :
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার তালতলা বোর্ডের হাট গ্রামের ছাইদুল হক মাস্টারের ছেলে মোস্তফা কামাল নিজের ১বিঘা জমিতে বারি -১ জাতের মাল্টা চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন।
পুষ্টির চাহিদা মেটানো ও কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে নতুন মাত্রায় যুক্ত হয়েছে এই রসালো ফলের চাষাবাদ। মাঠ পর্যায়ে তদারকি ও বিনামুল্যে চারা বিতরণের মাধ্যমে মাল্টা চাষে উৎসাহিত করছে নিরাপদ উদ‍্যানতাত্ত্বিক ফসল উৎপাদন ও সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (নাগেশ্বরী) কুড়িগ্রাম। দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাল্টা চাষ।

মোস্তফা কামাল উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে বারি-১ মাল্টা প্রদর্শনী প্লট করেছেন।
তিনি জানতে পারেন মাল্টা চাষ করে স্বালম্বী হওয়া যায়। তখন তিনি উদ্যোগ নেন মাল্টা চাষ করার। এবারই প্রথমে ৪১টি চারা গাছ দিয়ে বাগান শুরু করেন। তার কাজে উৎসাহ দিতে কৃষি অফিস থেকে মাল্টার চারা ও সার বিনামুল্যে সরবরাহ করা হয়।

তার মাল্টা চাষে ২ বছরে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লহ্ম টাকা।
মাল্টার পাশাপাশি সাথী ফসল হিসাবে পেয়ারা, মরিচ,পেঁপে ও সবজি চাষ করে ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় করেছেন। বাগান জুড়ে সবুজ মাল্টার সমাহার মূহুর্তেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সবুজ রসালো এই ফলের ভারে প্রতিটি গাছের ডালপালা নুইয়ে পড়েছে। প্রত‍্যেক গাছেই ঝাঁকে ঝাঁকে মাল্টা ধরেছে। এই মাল্টা সবুজ রঙের হয়।

স্বাদে গন্ধে কমলা রংঙের মাল্টার চেয়ে কোন অংশে কম নয়। কিছু দিনের মধ্যেই বাজারজাত করা যাবে বলে আশা করছেন।

মাল্টার ফলন ভালো হওয়ায় মোস্তফা কামালের চোখে-মুখে তৃপ্তির হাসি। তিনি এখান থেকে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন।

নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, নাগেশ্বরীতে প্রায় ২০-২৫ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ করা হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনিয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এটা দেশী সবুজ জাতের মাল্টা। এই মাল্টায় ভিটামিন সি এর পরিমাণ বেশী। শিক্ষিত বেকার যুবকরা মাল্টা চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারে। এ ছাড়াও অন‍্য পেশার পাশাপাশি মাল্টা চাষ সম্ভব।

নাগেশ্বরী উপ-সহকারী কৃষি অফিসার এসএম মাসুদ রানা বলেন,আমরা মাল্টা চাষে ৯৯% সফল। ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হবে আর আমাদের দেশ আমদানিকৃত যে অর্থটা ব‍্যয় করে সেটার থেকে রেহাই পাবে এবং দেশ আস্তে আস্তে সবুজ মাল্টা চাষে সফল হবে ইনশআল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন