নাগেশ্বরী (কুরিগ্রাম) প্রতিনিধিঃকুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী বিস্তির্ন এলাকা জুরে কৃষকের মাঠ হলুদে ছেয়ে আছে। সরিষার ফুলে ভরে উঠেছে নাগেশ্বরী কচাকাটার মাঠ। মাঠ ভরা ফুল অার ফুল, ভরে যায় কৃষকের মন, আর মুখে তৃপ্তির হাসি আর আশার স্বপ্ন। এলাকা ঘুরে দেখা যায়,নাগেশ্বরীর কচাকাটা,নারায়নপুর নেওয়াশী, হাসনাবাদ,ভিতরবন্দের মাঠে মাঠে সরিষা ফুলের সমারহ। প্রকৃতির নির্মল বাতাসে সরিষা ফুলের ঘ্রানে মাতাল হয়ে উরে বেরাচ্ছে মৌমাছি মধু সংগ্রহে। ফুলে ফুলে মৌমাছি আর গুন গুন শব্দে গেয়ে যাচ্ছে গান। সরিষার ফসলি জমির পাশ দিয়ে হেটে যেতে মনমুগ্ধ পরিবেশে কেরে নিচ্ছে মানুষের মন আর হৃদয় ছোয়া ঘ্রান। স্থানীয় কৃষকেরা জানান গেছে বন্যায় জমিতে ধান করতে না পারায় জমিতে অাগাম নানা জাতের সরিষা চাষ করেছি যাতে গেছে মৌসুমের ক্ষতি কিছুটা পুসিয়ে নিতে পারা যায়। এ ফসলটি স্বল্প মেয়াদী অল্প খরচে হয় তাই কৃষকের আগ্রহ বেশি।জমিতে বিজ রোপনের প্রায় ৯০/৯৫দিনের ভিতরে ঘরে ফসল তোলা যায়, যে পরিমান রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হয় তাতে বোরো মৌসুমে ধানের চাষে সার কম লাগে,এ ছাড়াও সরিষার পাতা ঝরে পরে জমিতে সবিজ সারের চাহিদা মেটায়। কাজেই কৃষকেরা অল্প খরচে বেশি লাভের আশায় সিরষা চাষে আগ্রহি বেশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান নাগেশ্বরী কচাকাটা সরিষা চাষের উপযোগী জায়গা,এবারে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মোট ৫৯০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। উপজেলার লক্ষ মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১৩ হাজার মেঃটঃ। কৃষকেরা উন্নত জাতের বারি-১৪,বারি-৯,বিনা-৯/১০এবং সরিষা-১৫, সোনালী সরিষা ৭৫,চাষ হয়। এসব সরিষা ৭৫-৮৫ দিনের মধ্যে ঘরে আসে। উপজেলার প্রায় ৮০০কৃষকের মাঝে উপকরন বিতরন করা হয়। কৃষকদের কৃষি মাঠ পরাচর্যা করার দিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। প্রকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবারের কৃষকেরা সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন