বেল্লাল হোসেন বাবু, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি :

নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিলদহর বাজারে নির্ধারিত খাজনা ছাড়া কয়েক গুণ বেশি আদায় করার অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে।

সাধারণ কৃষক, বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন।
খাজনা দিতে গিয়ে তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে।

জানা যায়, সিংড়া উপজেলার পুরনো ঐতিহ্যবাহী বিলদহর হাট। সপ্তাহে বৃহস্পতি ও রবিবার এখানে হাট বসে।
এ হাটে ধান, ভুট্টা, সবজি, বাঁশসহ বিভিন্ন পণ্য ক্রয়-বিক্রয় হয়।

এই হাটে পার্শ্ববর্তী গুরুদাসপুর উপজেলা, চামারী, কলম, ডাহিয়া ও হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের ব্যবসায়ীরা তাদের উৎপাদিত পণ্য ক্রয় বিক্রয় করেন। এবং বাজারে পাঁচ শতাধিক দোকান রয়েছে। কিন্তু হাটে সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চাইতে কয়েকগুন অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন হাট ইজারাদার।

হাসান আতিক নামে একজন ভুক্তভোগী তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন ,১০০০ টাকায় বাশঁ কিনে ১০০ টাকা খাজনা দিলাম। কিন্তু আমাকে ১০ টাকার খাজনার রশিদ দিয়েছে।
সরকারি নীতিমালায় ১পিচ বাঁশের খাজনা ৫টাকা।

আলম নামে একজন জানান, বিলদহর বাজার থেকে ৭ হাজার টাকায় খাট কিনে ৭০০ টাকা খাজনা দিয়েছি। অথচ সরকারি নীতিমালায় ১৬ টাকা খাজনা।

মহিষমরী গ্রামের শাক বিক্রেতা আবুল জানান,আমি ১০ আটি ডাটাশাক নিয়ে এসে ২০টাকা বিক্রি করেছিলাম।খাজনা না দিতে চাওয়ায় আমার কাছ থেকে জোর করে ১০ টাকা খাজনা নিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, বিলদহর হাট-বাজারে খাজনার নামে দিনে দুপুরে চাঁদা তোলা হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হাট কর্তৃপক্ষ।

হাটের ইজারাদার বেলাল হোসেন সরদার বলেন, সবকিছুই কি নিয়ম মেনে চলে? নিয়মের বাহিরেও চলতে হয়। তবে অভিযোগগুলো সত্য নয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলাম বলেন, খাজনার সরকারি মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে তারপরে হাট বসানোর কথা বলা হয়েছিল। অতিরিক্ত খাজনা আদায় করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *